করোনার হামলায় ভেস্তে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুটি ম্যাচ। করোনার বাধা কাটিয়ে সোমবার রাতে মাঠে ফিরেছিল দলটি। ফেরার ম্যাচটা রাঙাতে পারেনি রেড ডেভিলরা।
এডিনসন কাভানির গোলে শেষ রক্ষা পেয়েছে দলটি। নিউক্যাসলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ম্যান ইউ যেন এই ম্যাচে ছিল নিজের ছায়া হয়েই। চার ম্যাচে ১৫ গোল করা দলটি এদিন প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নেয় ১৩টি, যার ভেতর মাত্র চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে নিউক্যাসল শট নেয় ১৫টি, যার ভেতর ৮টি শট ছিল সরাসরি লক্ষ্যে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই লিড নেয় নিউক্যাসেল। আলাঁ সাঁ-মাক্সিমাঁ ম্যানইউর দুই ডিফেন্ডারকে ভেলকি দিয়ে বল পাঠান জালে। আর এতে করেই রেড ডেভিলদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেল নিউক্যাসল।
পিছিয়ে পরেও ম্যাচে ফিরতে পারছিল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আক্রমণের ধার বাড়াতে গিয়ে উল্টো গোল হজম করার উপক্রম হয়েছিল তাদের।
৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন ক্যালাম উইলসন, কিন্তু অফ সাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেই গোল।
৭১তম মিনিটে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। ডি বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফের আসে তার কাছে।
ফিরতি শট নেয়ার সময় টাইমিংয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক। বল ঠেকাতে আগেই ডাইভ দিয়ে বসেন। যার ফলে অরক্ষিত পোস্ট পেয়ে সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান কাভানি।
শেষ পর্যন্ত আর জালের দেখা পায়নি কোনো দলই। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুই দলকে।
১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে রয়েছে ম্যানচেস্টার। ১৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে অবস্থান করছে নিউক্যাসল।
১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৮ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। পয়েন্ট সমান থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে চেলসি। চারে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৫।