দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে ছিল শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলো। অবহেলার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দর্শকদের বসার চেয়ারগুলোতেও।
স্টেডিয়ামের এই খাতটির সংস্কার কাজের দায়িত্ব ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের (এনএসসি)। কিন্তু করোনার দোহাই দিয়ে বারবার তারা এড়িয়ে যাচ্ছিল সংস্কার কাজ। যার ফলে দিন দিন সংস্কারের অভাবে আরও জীর্ণদশা ধারণ করেছিল চেয়ারগুলো।
সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সিরিজের মধ্য দিয়ে করোনা বিরতি কাটিয়ে দর্শকেরা মাঠে ঢোকার অনুমতি পান। কিন্তু ভাঙ্গা চেয়ারের কারণে তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। বিসিবির কাছ থেকেও মিলছিল না কোন সদুত্তর।
অবশেষে মাঠের সংস্কার কাজের দায়িত্ব বোর্ড তুলে নিল নিজ কাঁধে। এনএসসির ভরসায় না থেকে নিজ উদ্যোগেই সংস্কারের কাজ শুরু করবে বোর্ড।দ্বিতীয় বোর্ড সভা শেষে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ইমার্জেন্সি বেসিসে আমরা ঠিক করলাম যে আমরা চেষ্টা করে দেখি ঠিক করতে পারি কিনা। তখন আমরা তাদের প্রপোজাল দিলাম, মিরপুর স্টেডিয়ামের এই চেয়ারগুলো আমরা নিজেরাই বদলাতে চাই। তাদের যদি কোনো আপত্তি না থাকে।
পাপন বলেন, ‘চেয়ারগুলো ভেঙ্গে গেছে সেটা নিয়ে বেশ কিছুদিন আমরা এনএসসির সাথে কথা বলেছি। এটা কোভিডের আগে থেকেই। একে তো কোভিড পরিস্থিতি। দ্বিতীয় হচ্ছে সরকারি প্রক্রিয়াটাই একটু লম্বা। শর্টকাট করারও উপায় নাই। সেই সঙ্গে ফান্ডের একটা ব্যপার আছে।
‘জরুরি ভিত্তিতে আমরা ঠিক করলাম যে আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কিনা। তখন আমরা তাদের বললাম, মিরপুর স্টেডিয়ামের এই চেয়ারগুলো আমরা নিজেরাই বদলাতে চাই। তাদের যদি কোনো আপত্তি না থাকে। তারা বলল তাদের কোনো সমস্যা নেই। তখন আমরা পরীক্ষামূলকভাবে চেয়ারগুলো বদলানো শুরু করলাম।’
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্যান্য জায়গাতে চট্টগ্রাম, সিলেটে যেই চেয়ারগুলোতে সমস্যা আছে সেগুলো ইমিডিয়েটলি আমরা রিপ্লেস করে ফেলব।
নতুন প্রতিস্থাপন করা চেয়ারগুলো ২০১১ সালে এনএসসির দেয়া চেয়ারগুলোর চেয়ে ভাল সার্ভিস দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিসিবি বস। একই সঙ্গে এভাবে দেশের বাকি স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের কাজ বিসিবি নিজ উদ্যোগেই করবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
পাপন বলেন, ‘চেয়ারগুলো এখন পর্যন্ত ভালো আছে। আগে যেটা কিনেছি ২০১১ তে সেটার থেকে এক তৃতীয়াংশ দামে আমরা এগুলো পেয়েছি। বিষয়টি আমাদের পছন্দ হয়েছে এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্যান্য জায়গাতে চট্টগ্রাম, সিলেটে যেই চেয়ারগুলোতে সমস্যা আছে সেগুলো ইমিডিয়েটলি আমরা রিপ্লেস করে ফেলব।’
একই সঙ্গে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন ঘরোয়া খেলা চালানোর জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ৯-১০টি নতুন স্টেডিয়াম বানানোর জন্য জায়গা দেখছে বোর্ড।পাপন সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান যে, ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজ আগামী তিন বছরে শেষ করতে চায় বিসিবি।