বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী দলের আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে কলসিন্দুরকে

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৯

শিরোপাজয়ী এই দলের অধিকাংশ ফুটবলার উঠে এসেছেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তাদের সাফল্যে গর্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কমলাপুরের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বুধবারের ফাইনালে ১-০ গোলের জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছেন গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।শিরোপাজয়ী এই দলের অধিকাংশ ফুটবলার উঠে এসেছেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তাদের সাফল্যে গর্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।বছর পাঁচেক আগে এই শিক্ষকরাই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ আসে। ছাত্রীদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। তবে সাফের বয়সভিত্তিক দলের শিরোপা জয়ের পর সেই শিক্ষকরাই মার্জিয়াদের সাফল্য নিয়ে মেতেছেন উচ্ছ্বাসে। শিক্ষকরা বলছেন, সেই ঘটনা ভুলে যেতে চান তারা।সেই ঘটনা ফুটবলাররা গায়ে না মাখলেও তাদের সাফল্যের পর এখন ফের আসছে সেই প্রসঙ্গ। ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক জাবেদ আলী।শিরোপা জয়ের পর জাবেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই বছরের (২০১৬) ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে কুমিল্লা যাওয়ার কথা ছিল আমাদের বিদ্যালয়ের ফুটবলারদের। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর বাফুফের সংবর্ধনা ও সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়নশিপ ক্যাম্পের ব্যস্ততায় খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ে ডেকে আনা হয়েছিল।’সেই বৈঠকে অভিভাবকদের গালিগালাজ করার পাশাপাশি ফুটবলারদের বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড়ের বাসা আমার পার্শ্ববর্তী। পারিবারিকভাবে মনোমালিন্য হওয়ায় তখন এ ঘটনা ঘটেছিল। তবে বিষয়টি কয়েক দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের এ ফুটবলাররা আমাদের গর্ব।’সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল চন্দ্র পাল বলেন, ‘ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম কলসিন্দুর। এ গ্রামের কিশোরীরা এখন দেশের সুনাম বয়ে এনেছে। এর চেয়ে বড় আনন্দ আমাদের আর কিছু হতে পারে না।’কলসিন্দুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুরোনো সব ঘটনা ভুলে আমরা ফুটবলকন্যাদের নিয়ে নতুন প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছি। সময়ের ব্যবধানে সাফল্যের পাল্লা ভারী করছে নারী ফুটবলাররা। এরা দেশের নারী ফুটবলের বিশাল অর্জন বয়ে এনেছে। আমরা ও তাদের পরিবারসহ এলাকাবাসী গর্ববোধ করছেন।’বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরুতে নারীদের ফুটবল খেলাকে ভালো চোখে দেখেননি অনেকে। কিন্তু এখন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ তাদের ভীষণ ভালোবাসেন। তারা রাস্তায় বের হয়ে টেম্পো বা ইজিবাইকে চড়ে কোথাও গেলে চালকরা ভাড়া নিতে চান না। এলাকার সবাই তাদের নিয়ে গর্ববোধ করেন।’ফুটবলার মার্জিয়ার বাবা আব্দুল মোতালেব নিউজবাংলাকে জানান, ওই ঘটনা তারা আজও ভুলতে পারেননি। অভিভাবক হিসেবে কষ্ট পেয়েছিলেন। তবে একের পর এক জয়ের আনন্দে সেই ঘটনা এখন মন থেকে মুছে যাচ্ছে। এমন ঘটনা আর ঘটবে না এমনটাই প্রত্যাশা তার।

এ বিভাগের আরো খবর