গত মাসে নিজের সপ্তম ব্যালন ডর ট্রফি জিতে বর্তমান ফুটবল বিশ্বে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার সপ্তম বিজয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি।
পোলিশ এই গোলমেশিন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে ব্যালন জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারটা ওঠে অবশ্য মেসির হাতেই। লেভা যে মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন সে বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্যালন ডর পুরস্কার দেয়া হয়নি।
ট্রফি গ্রহণ করার পর মেসি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে, ২০২০ সালে ব্যালন ডর অনুষ্ঠিত হলে কোনো সন্দেহ নেই সেটা লেওয়ানডোভস্কিই পেতেন।
ওই সন্ধ্যার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও মেসির কথা এখনও মনে রেখেছেন লেভা। জার্মান ক্রীড়া পত্রিকা স্পোর্ট বিল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন মেসির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাও তার কাছে সম্মানের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যালন ডর নিয়ে মেসি আমার সম্বন্ধে যা বলেছিলেন সেটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমার মনে হয়নি তিনি ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন।। আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম দারুণ মুহূর্ত ছিল সেটা।
‘মেসির সঙ্গে ওইদিন আমার খুব বেশি কথা হয়নি কারণ আমি স্প্যানিশ খুব বেশি জানি না। আমি কিলিয়ানকে ইংরেজিতে বলছিলাম আর সে লিওকে অনুবাদ করে দিচ্ছিল। চমৎকার একটা সন্ধ্যা কেটেছে আমাদের।’
মেসি কাছে এবার হারলেও হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না লেওয়ানডোভস্কি। ৩৩ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার ক্যারিয়ারে একবার হলেও জিততে চান ব্যালন ডর।
তিনি বলেন, ‘ছোটখাট বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু মিলে যেতে হবে। আমি যেটুকু করতে পারি তা হচ্ছে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা ও নিজের কাজটা ঠিকমতো করা।’
সবশেষে আধুনিক ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে বেশিবার করা প্রশ্নটির উত্তর জানতে চাওয়া হয় লেভার কাছে, কে সেরা মেসি না রোনালডো?
উত্তরটা সরাসরি দেননি বায়ার্ন মিউনিখের এ তারকা। তবে তার কাছে মনে হয়েছে মেসি ঈশ্বর প্রদত্ত একজন সহজাত প্রতিভা আর রোনালডোর অর্জন কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে।
তিনি বলেন, ‘রোনালডোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলাকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। মেসি খেলাটা দেখলে মনে হয় সবকিছু ওর জন্য সহজ। আর আমার মনে হয় রোনালডোকে ওর খেলার জন্য মেসির চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে।’
গত শনিবার ভলফসবুর্গকে হারিয়ে ছুটিতে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও এর তারকারা। বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের ছুটি শেষে ৮ জানুয়ারি মাঠে ফিরছেন লেওয়ানডোস্কি ও তার দলবল।