দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বার্সেলোনার নতুন কোচ চাভি এর্নান্দেস তা এলচের বিপক্ষে হাত ফসকে যাচ্ছিল প্রায়। শেষ মুহূর্তের গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
নিজ মাঠ কাম্প ন্যুয়ে এলচেকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। বার্সার হয়ে গোল করেন ফেরান ব্লাঙ্ক, গাভি ও নিকো গনসালেস। এলচের হয়ে গোল আসে তেতে মরেন্তে ও পেরে মিজিয়ার পা থেকে।
কাম্প ন্যুয়ে দারুণ শুরু করে বার্সেলোনা। ১৬ মিনিটে ফেরান ও ১৯ মিনিটে গাভির স্ট্রাইকে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
এই দুই গোলের সুবাধে প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে চাভির শিষ্যরা। তবে বিরতির পর দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরে এলচে।
বার্সেলোনা ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে দুই মিনিটে দুই গোল করে তারা ম্যাচে সমতা ফেরায়। ৬২ মিনিটে তেতে ও পরের মিনিটে মিজিয়া গোল করেন।
এমন অবস্থাতেই শেষ হতে চলেছিল ম্যাচ। জয়সূচক গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দল।
৮৫ মিনিটে বার্সাকে স্বস্তি দেন নতুন তারকা নিকো গনসালেস। তার গোলেই জয় নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার পর মাঠে নামে আতলেতিকো মাদ্রিদ। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ছিল সেভিয়া।সেভিয়ার মাঠে প্রায় পুরো ম্যাচ সমানতালে খেলার পর শেষ সময়ের গোলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আতলেতিকো।
স্বাগতিকদের হয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন ইভান রাকিটিচ। ৭ মিনিটের মাথায় গোল করেন এই ক্রোয়াট।
প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে ফেলিপে অগুস্তো গোল শোধ করে দেন। এরপর প্রায় ৫৫ মিনিট গোলশূন্য ছিল ম্যাচ।
ড্রয়ের দিকে এগুতে থাকা ম্যাচে ফল নিশ্চিত করেন লুকাস ওকাম্পোস। এই আর্জেন্টাইনের গোলে ম্যাচ জিতে নেয় সেভিয়া ও ব্যবধান কমায় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে।
১৭ ম্যাচে সেভিয়ার পয়েন্ট ৩৭। সমান ম্যাচে রিয়াল শীর্ষে আছে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে।
১৭ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আতলেতিকো আছে পাঁচে। আর ২৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা আছে সাত নম্বরে।