বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট অলিম্পিকসে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি এখনও।
২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস আসরের জন্য নতুন ২৮টি ইভেন্টের একটি প্রাথমিক তালিকা জমা পড়েছে অলিম্পিকস কমিটির কাছে। সেখানে স্কেটবোর্ডিং, স্পোর্টস ক্লাইম্বিংয়ের মতো ইভেন্ট থাকলেও জায়গা হয়নি ক্রিকেটের।
তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় আইসিসি। কেননা আইসিসি এখনও তাকিয়ে রয়েছে আয়োজক লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষের সুপারিশের দিকে।
আইসিসির আশা, আয়োজকের সুপারিশে বিশ্ব ক্রীড়ার এই মহাযজ্ঞে অন্তর্ভুক্ত হবে ক্রিকেট।
সংস্থাটির এক পরিচালক সম্প্রতি ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেই পরিচালক বলেন, ‘এই তালিকা সেসব ইভেন্টের, যেগুলো অলিম্পিকের নিয়মিত ইভেন্ট ও আগেও খেলা হয়েছে। আয়োজক শহরের কিছু সুপারিশ থাকে নতুন ইভেন্ট যোগ করার, যার প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী বছর। আমরা সেটার অংশ হব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অলিম্পিকসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির জন্য অনেক সময় আছে। আমাদের খেলার লক্ষ্যটা বদলে যায়নি। আমরা আমাদের লক্ষ্যেই আছি।’
এদিকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক পর্যবেক্ষকের দাবি, আইসিসি অলিম্পিকসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির কাজটা শুরু করতে ঢিলেমি করেছে।
দেরিতে শুরু করায় তারা ক্রিকেটকে যোগ করাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি।
আইসিসির সেই পর্যবেক্ষক বলেন, ‘২০২০ সালে একটা উপকমিটি করার পরও অলিম্পিকসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির কাজটা আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে মাত্র চার মাস আগে। হ্যাঁ, ২০২৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের সুপারিশের আশা আইসিসি করতেই পারে, কিন্তু এটা মোটেও আশা করবেন না যে, আইসিসিকে জায়গা করে দিতে বাকিরা নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়াবে।’
মূলত যুক্তরাষ্ট্র চাইছে দেশটির জনপ্রিয় খেলা বেসবল, সফটবলকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করতে। আর এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে আইসিসি।
এ লক্ষ্যে চলতি বছরের আগস্ট থেকে কাজ শুরু করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।