প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে খেলা হচ্ছে না সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস ও নবীব নেওয়াজ জীবনের গোলে জামাল ভূঁইয়াদের হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পা রাখল আবাহনী।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনালে সাইফকে ২-০ ব্যবধানে হারায় আবাহনী।
পাঁচ বছর আগে সবশেষ ফাইনাল খেলে আকাশী-নীলরা। মারিও লেমসের অধীনে প্রথমবার ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল আবাহনী।
তবে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টনকে ছাড়া সেমির পরীক্ষায় মাঠে তারা।
সেটা ম্যাচের শুরু থেকে হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছিল আবাহনী। প্রথম থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বিরাজ করে খেলে সাইফ। ডিয়েগো ক্রুসিয়ানির অধীনে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে জামালরা। এ ম্যাচের শুরুতে তার প্রদর্শনী দেখে ফুটবল সমর্থকরা।
শক্তিশালী আবাহনীকে বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলে ফাহিম-উদোহরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে লিড নেয়ার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে সাইফ।
ডিফেন্ডার নাসিরের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে থাকা জামালের দিকে এগিয়ে দেন এমফন উদোহ। জামাল বল নিয়ে শট নেয়ার আগে জটলা তৈরি হয় ডি-বক্সে। তার মাঝে উদোহর নেয়া শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিক গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। এ গোলের মধ্য দিয়ে তিন গোল সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে গেল এ কোস্টারিকান।
এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হয় সাইফের। এবার উদোহর লম্বা থ্রো থেকে গোলবারে শট নেন আগের ম্যাচের গোলদাতা মারাজ। তার দুর্বল শট গ্ল্যাভসবন্দী করতে কষ্ট হয়নি গোলকিপার প্রিতমের।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে আবাহনীর দ্বিতীয় গোলে সাইফের ফেরাটা ফিকে হয়ে যায়। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কলিনদ্রেসের স্পট কিক থেকে আলতো টাচে বল জালে জড়ান নবীব নেওয়াজ জীবন। ১১ মাস পর প্রথমবার মূল একাদশে সুযোগ পেয়ে গোলে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন জীবন।
এরপরে আর ফেরা সম্ভব হয়নি সাইফের। বিদায় নিতে হলো সেমি থেকে। ফলে জয়ের স্বস্তি নিয়ে চতুর্থবার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আবাহনী। সঙ্গে ১৯৯০ সালের পর দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তোলার সুযোগ তৈরি হয় আকাশি-নীলদের।