আফগানিস্তানের ফুটবলার আমিরুদ্দিন শারিফির গোলে শেখ রাসেলকে চমকে দিয়ে চলমান রিভেইরা স্বাধীনতা কাপের সেমি ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার টুর্নামেন্টের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পুলিশ এফসি।
ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় রোমানিয়ান কোচ এরিস্টিকা সিওয়াবাওয়ের দল-পুলিশ। আদিল কুসকুসের ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন পুলিশের আফগানি ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফি। টুর্নামেন্টে তার প্রথম গোলের সুবাদে এগিয়ে যায় পুলিশ।
এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের শেষদিকে আঘাত পায় পুলিশ। শেখ রাসেলের ফুটবলার হেমন্ত ভিনসেন্টকে চার্জ করতে গিয়ে লাল-কার্ড দেখেছিল পুলিশের মোনায়েম খান রাজু।
এগিয়ে থেকেও ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় পুলিশ।
দ্বিতীয়ার্ধে এই সুবিধাটাই কাজে লাগাতে উঠে-পড়ে লাগে শেখ রাসেল। কাউন্টার অ্যাটাকের পরিকল্পনা আর রক্ষণ সামলানোই ছিল পুলিশের কৌশল।
সমতায় ফিরতে মরিয়া শেখ রাসেল সুবর্ণ সুযোগ পায় ম্যাচের ৫৪ মিনিটে। সেই সুযোগটা হাতছাড়া করে টিটুর বাহিনী। নিজেদের ডি-বক্সের ভেতরে হেমন্তকে চার্জ করতে গিয়ে ফাউল করেন পুলিশের ডিফেন্ডার জয়ন্ত। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় অল ব্লুসরা।
কিন্তু পেনাল্টি থেকে দলকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি উপহার দিতে পারেননি শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড আইলটন মাসাদো। তার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে পুলিশকে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার নেহাল।
ঠিক তার তিন মিনিট পর এবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে হেমন্তের নেয়া বুলেট শটটা ফিস্ট করে রুখে দেন নেহাল।
পিছিয়ে থাকা রাসেল বাহিনী ম্যাচের ৬২ মিনিটে আরও বড় ধাক্কা পায় লাল কার্ড দেখে। ডি-বক্সের ভেতরে নকল ডাইভ দেয়ার জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার হেমন্ত। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দুই দল।
এরপরে কিছুতেই পুলিশের জালের দেখা পায়নি শেখ রাসেল। ফলে জয় নিয়ে টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে পুলিশ। ঢাকা আবাহনী ও সাইফের পর তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠল পুলিশ।
তারা মুখোমুখি হবে দিনের পরের ম্যাচে জয়ীদের বিপক্ষে। রোববার টুর্নামেন্টের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামালের। এই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ১৪ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে পুলিশের।