বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশে ভাইরাসের ধরন শনাক্তের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসা জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাদের তৃতীয় দফা পরীক্ষায়ও ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান দুই ক্রিকেটার পুরো সুস্থ আছেন ও কোনো উপসর্গ নেই।
সংবাদ মাধ্যমকে শনিবার বিকেলে বিসিবি বস বলেন, ‘পুরো দল একসঙ্গে ছিল। অন্যরা সবাই নেগেটিভ। যাদের হয়েছে তাদের কোনো উপসর্গ নেই। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। জ্বর, শরীর ব্যথা কিছুই নেই। বুঝতেই পারেনি যে করোনা হয়েছে। সেদিক দিয়ে বলব এটা একটা বিরাট সুখবর।’
নারী দলের যে দুই সদস্য ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাপন। তার মতে, বায়ো বাবলে থাকার জন্য দলের অন্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।
তিনি যোগ করেন, ‘আইসোলেশন শতভাগ মানা হচ্ছে। বায়ো বাবলে তো সেটা মানতেই হবে। প্রথম থেকে তারা কোভিডের জন্য বিশেষায়িত ফ্লোরে আইসোলেশনে ছিল। যে কারণে অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি। ওরা এক রুম থেকে অন্য রুমে যেতে পারেনি। যে প্রটোকল ছিল সেটাই অনুসরণ করা হয়েছে।’
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টুর্নামেন্ট শেষে ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দেশে ফিরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করেন ক্রিকেটাররা।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানা থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাতিল করতে বাধ্য হয় আইসিসি।