টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে বাংলাদেশের সফলতা ছিল কেবল পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচে জয়। এ ছাড়া বাছাইপর্ব ও সুপার টুয়েলভ মিলিয়ে খেলা বাকি ছয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।
শর্টার ফরম্যাটের ক্রিকেটের সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পুরোপুরি ব্যর্থ। যে ধারা অব্যাহত ছিল সম্প্রতি শেষ হয় পাকিস্তান সিরিজেও। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে পাকিস্তানের কাছে ক্লিনসুইপের শিকার হতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেট বিশ্বকাপের নবম আসর। ব্যর্থতায় ভরা বিশ্বকাপ শেষ করে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে এখন থেকে পরিকল্পনার ছক কষা শুরু করে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
২০২২ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে- এমনটা মনে করেছেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। টেস্ট থেকে বিদায় নিলেও আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন বলে জানান রিয়াদ।
শুক্রবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একাডেমি কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটা জানান টি-টোয়েন্টি দলপতি।
রিয়াদ বলেন, ‘পরিকল্পনা তো নিশ্চিতভাবে ভালো খেলার। আমি সব সময়ই ইতিবাচক জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করি। সবশেষ বিশ্বকাপ ও পাকিস্তান সিরিজে ভালো ক্রিকেট আমরা খেলতে পারিনি। কিন্তু যদি পুরো বছরটা দেখেন, আমরা খুব ভালো খেলেছি।’
‘হোম কন্ডিশনে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। এখানে কিছু পজিটিভ আছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি এবং দলের সঙ্গেই আছি। এর আগেও যখন আমরা কামব্যাক করতে পেরেছি, এবারও পারব।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে ব্যাটিং বাংলাদেশের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে সেটি আরও বেশি ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে।
তাই আসন্ন বিশ্ব আসরে ব্যাটিং ইউনিটের উন্নতি এনে প্রতিটি সিরিজে ভালো খেলার মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে ভালো করতে চান রিয়াদ।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি আছে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন খুবই ভালো। ট্রু বাউন্স, ট্রু পেস থাকে। এখন বিষয়টা আমাদের ওপর, কীভাবে আমরা জিনিসটা সামলাই। আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে আরও ভালো করতে হবে।’