বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান যখন নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে সে সময় বাংলাদেশের কাছে ব্যাটিং করার জন্য সময় ছিল প্রায় দেড় দিন। বাংলাদেশ এই দেড় দিনেই যে দুই ইনিংস খেলে ফেলবে সেটি ধারণা করতে পারেননি ভক্তরা।
চতুর্থ দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করলে চা বিরতির কিছু সময় আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক দল। সেদিন বাংলাদেশ খেলেছিল ২৬টি ওভার। এই ২৬ ওভারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৭৬ রানের পুঁজি।
বিপত্তির জায়গাটি ছিল এই রান তুলতে সাত ব্যাটসম্যানকে ফিরতে হয়েছিল সাজঘরে। এক সাজিদ খানেই দুমড়ে মুচড়ে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। বড় ও বাজে শট খেলে স্বাগতিকদের শিবিরে চলছিল আশা যাওয়ার লড়াই।
পঞ্চম দিনের শুরুতেই স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করতেই অল আউট বাংলাদেশ। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সেখানেই দেখা যায় একই চিত্র।
ব্যর্থতার বেড়াজালে আটকে থেকেই সাজঘরে ফিরেছেন জাতীয় দলের টপ অর্ডাররা। মাঝে মুশফিক, লিটন, সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ড্রয়ের স্বপ্ন জেগে উঠলেও শেষ পর্যন্ত হারকে সঙ্গি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এই ৮৭ রানে অল আউট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ধৈর্য্য হারা ব্যাটিং হয়েছে ম্যাচ শেষে প্রশ্নবিদ্ধ।
ব্যাটসম্যানদের ওই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অ্যাপ্রোচটাই সে সময়ের জন্য উপযুক্ত ছিল বলে মনে করছেন জাতীয় দলের টেস্ট দলপতি মুমিনুল হক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি।
মুমিনুল বলেন, ‘ওই উইকেটে মুশফিক ভাই ও লিটনকে সমর্থন করব। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিল অনেক। মুশফিক ভাই স্কয়ার অফ দ্য উইকেটে মেরেছিল দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই। আসলে এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেললে কঠিন হয়ে যায়।’
হারের কারণ হিসেবে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দুষছেন অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেন, ‘খুবই বাজে দিন ছিল গতকাল। এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি। অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। খুব বাজে ব্যাট করেছি। এ অবস্থা থেকে ফিরে আসা কঠিন।’