সাকিব-মিরাজ জুটি ঢাকা টেস্টে ড্রয়ের সম্ভাবনাকে বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছিল। কিন্তু বাবর-সাজিদের দুই আঘাতে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গের কাছে বাংলাদেশ।
দলীয় ১৯৮ রানে বাবরের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মেহেদি মিরাজকে। মাঠ ছাড়ার আগে সাকিবের সঙ্গে মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি।
পরের ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশ শিবিরে ফের আঘাত হানেন সাজিদ খান। এবারে তার শিকার বাংলাদেশকে ড্রয়ের সুবাস এনে দিতে থাকা সাকিব আল হাসান।
সাজিদের বলে স্টাম্প হারিয়ে ৬৩ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় সাকিবকে। আর তাতে এক প্রকারে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের পরাজয়।
এর আগে চার উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে সাজিদের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। আর চা-বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ছয় উইকেটে ১৪৭ রান। ৫৬ বলে ২৫ করে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসেও। দিনের প্রথম সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দলীয় রান ২৫ তুলতেই স্বাগতিকরা হারায় চার উইকেট।
এমন বিপর্যয়ের সময় ৭৩ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দুজন মিলে প্রতিরোধ গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ম্যাচে টিকে থাকার।
কিন্তু সাজিদ খানকে পুল করতে গিয়ে শর্টে ফাওয়াদ আলমের হাতে বন্দি হয়ে ভাঙে সেই স্বপ্ন। ৮১ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ সে সময় ৯৮। এরপর সাকিব আল হাসান উইকেটে এসে বাড়িয়ে দেন রানের গতি। সঙ্গী মুশফিকও কম যাচ্ছিলেন না। একের পর এক বাউন্ডারির মাধ্যমে কমিয়ে আনতে থাকেন ফলোঅনের ব্যবধান।
বেশিক্ষণ টেনে নিয়ে যেতে পারেননি দলকে। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান।