চার উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে সাজিদের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। আর চা-বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৪৭ রান। ৫৬ বলে ২৫ করে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসেও। দিনের প্রথম সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দলীয় রান ২৫ তুলতেই স্বাগতিকরা হারায় চার উইকেট।
এমন বিপর্যয়ের সময় ৭৩ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দুজন মিলে প্রতিরোধ গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ম্যাচে টিকে থাকার।
কিন্তু সাজিদ খানকে পুল করতে গিয়ে শর্টে ফাওয়াদ আলমের হাতে বন্দি হয়ে ভাঙে সেই স্বপ্ন। ৮১ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ সে সময় ৯৮। এরপর সাকিব আল হাসান উইকেটে এসে বাড়িয়ে দেন রানের গতি। সঙ্গী মুশফিকও কম যাচ্ছিলেন না। একের পর এক বাউন্ডারির মাধ্যমে কমিয়ে আনতে থাকেন ফলোঅনের ব্যবধান।
বেশিক্ষণ টেনে নিয়ে যেতে পারেননি দলকে। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান।
এর আগে পাকিস্তানের করা প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের শুরুতে দলীয় স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করতে সমাপ্তি ঘটে টাইগারদের ইনিংসের।
২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয় স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের পেইস তোপের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফিরে যেতে হয় মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল হাসান শান্তকে।