আগের দিনের ৭৬ রানের সঙ্গে আর ১১ রান যোগ করতেই ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে অলআউট বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়া স্বাগতিক দল পাকিস্তান থেকে ২১৩ রানে পিছিয়ে। ফলে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্টেও হারের শঙ্কায় আছে তারা।
পঞ্চম দিনেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই তাইজুল ও খালেদকে হারিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা।
এদিন বাংলাদেশ শিবিরে প্রথমে আঘাত হানেন সাজিদ খান। তাইজুলকে ফেরান কোন রান করার সুযোগ না দিয়ে।
স্বাগতিকদের শিবিরে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। খালেদকে ফিরিয়ে পতন ঘটান বাংলাদেশের নবম উইকেটের।
দুজনই ফিরেন রানের খাতা না খুলে। ৮৭ রানে থামে বাংলাদেশের রানের চাকা।
সাজিদ খানের বলে আজহার আলির ক্যাচে পরিণত হন উইকেটে কামড়ে থাকা সাকিব আল হাসান। আগের দিন ২৩ রানে অপরাজিত থাকা সাকিবের সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত ৩৩ রান।
এর আগে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৩০০ রানের জবাব ব্যাট করতে নেমে সাজিদ খানের স্পিন ঘুর্ণিতে বেসামাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশর।
স্বাগতিকদের শিবিরে সাজিদ প্রথম আঘাত হানেন মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে। রানের খাতা খোলার আগে ফিরতে হয় অভিষিক্ত এ ওপেনারকে।
দলীয় ২০ রানের সাজিদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৩ রান করে হাসান আলির হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে রানের চাকার গতি বাড়াতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলির সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়তে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার আগে করেন এক রান।
বিরতি থেকে ফিরে টেস্ট মেজাজ হারিয়ে দ্রুত রান তোলার প্রত্যয়ে খেলা শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। যার খেসারত হিসেবে পাঁচ রানে তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় সাজিদ খানের তৃতীয় শিকার হয়ে। এর ফলে ৩১ রান তুলতে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
আশা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান লিটন দাস। ছয় রান করে সাজিদ খানের কাছে পরাস্ত হতে হয় তাকে।
দলের হয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের রান ছোঁয়া শান্তকে থামান সাজিদ। দুর্দান্ত এক বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান। তার আগে খেলেন ৫০ বলে ৩০ রানের ইনিংস।