টেস্ট সিরিজের শুরু থেকে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের কাছে পাত্তা পাচ্ছেন না বাংলাদেশের পেইসাররা। চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে শুরু হয়ে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে ঢাকা টেস্টে।
দুই টেস্টে তিন ইনিংস মিলিয়ে পাকিস্তানের মোট ১৬ উইকেট তুলতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আর এই ১৬ উইকেটের ভেতর মাত্র চারটি উইকেট গিয়েছে পেইসারদের ঝুলিতে।
অপরদিকে স্পিন পেইস দুই বিভাগে উজ্জ্বল ছিলেন পাকিস্তানি বোলাররা।
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিলেও পাকিস্তানের রানের চাকার গতি কমাতে পারেনি টাইগার বোলাররা। যার কারণে চতুর্থ দিনে দেড় সেশন ব্যাট করেই দলীয় স্কোর ৩০০ করে সফরকারীরা।
কেন এমন বিপর্যয়? কারণ হিসেবে বোলারদের কমন সেন্সের অভাব দেখছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বোলিং ব্যর্থতার জন্য কোচকে না দোষ দিয়ে সুজন দোষ দিচ্ছেন বোলারদের।
দিনের খেলা শেষে সুজন বলেন, ‘কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায় কিন্তু খাইতে তো হবে আপনার। চিবাইতেতো হবে আপনার।’
এ সময় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা ও সাবেক পেইসার তাপস বৈশ্যের বোলিং এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো? তখন তো আমরা আরও পারতাম না। আর জানতামও না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা। এই কোচ, ওই কোচ, সব আলাদা।’
সাবেক এই অধিনায়কের দাবি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গায় বল না করে তাদের শক্তির জায়গায় বল করে গেছেন বোলাররা। সে কারণে বাংলাদেশের সামনে বড় পুঁজি দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা।
সুজন বলেন, ‘বোলারদের ভুলটা হলো কমন সেন্স। উইকেটে বল ধরতেছিলো এরপরও আমরা পেছনে (খাটো লেংথ) বল করেছি। এটাতো বোলিং কোচ উত্তর দেবে।
‘বোলিং কোচের প্ল্যান যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞেস করবে। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা দুর্বল জায়গা কোনটা তারা জানবে।’