ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে এসে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ের শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে স্বাগতিকদের শিবিরে চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলে অংশ নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাত ব্যাটসম্যান।
দিন শেষে ৭৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা যেন ভুলে গিয়েছিলেন টেস্ট খেলতে নেমেছেন তারা। অধিকাংশই আউট হয়েছেন বাউন্ডারি শট খেলতে গিয়ে।
যেই উইকেটে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছেন, সেই একই উইকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বিলিয়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট। ড্রয়ের দিকে যাওয়া ম্যাচটাকে পাকিস্তানের জয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
সাদমান-শান্তদের ব্যাটিংয়ে অবাক জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এমন ব্যাটিংয়ের কারণ জানা নেই তার।
চতুর্থ দিন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানান এ সাবেক অধিনায়ক।
সুজন বলেন, ‘এমন ব্যাটিং নিয়ে বলতে পারব না। অবশ্যই ধৈর্য্যের অভাব ছিল। কেন এত অধৈর্য্য ছিল সবাই সেটা একটা বড় ব্যাপার। উইকেটে স্পিন হচ্ছিল। স্পিন খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তবুও কেন তাড়াহুড়া হয়েছে সেটা আসলে বুঝতেছি না। ভেবেছি সারাদিন খেলা হবে।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ছিল বৃষ্টির হানা। পুরো একটা দিন চলে যায় বৃষ্টির পেটে। চতুর্থ দিনে দুই উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তাদের স্কোরশিটে যোগ করে ১১২ রান।
আর বাংলাদেশ ৭৬ রান তুলতেই হারায় ৭ উইকেট। ফলো অন থেকে ২৫ রান দূরে থেকে টাইগাররা দিন শেষ করে।