আগেও ছয়বার জিতেছেন বিশ্বসেরা ফুটবলারের জন্য বরাদ্দ এ ট্রফি। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার পেয়েছেন এ সম্মান। তারপরও লিওনেল মেসির কাছে এবারের জয়টাই সবচেয়ে উপভোগ্য।
তাকে সর্বকালের সেরা বলে মেনে নিয়েছেন অনেক বোদ্ধা। এবারের ব্যালন ডর জেতার সংখ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবেই সেরা হয়ে উঠলেন মেসি। প্যারিসে সপ্তম সোনার বল হাতে নেয়ার পর মেসি জানালেন এবারেরটাই সবচেয়ে তৃপ্তি দিচ্ছে তাকে। কারণটাও জানান ক্রীড়া বিশ্বের এ মহানায়ক।
মেসি বলেন, ‘আগে যখনই এ পুরস্কার পেয়েছি, নিজের দেশের জন্য কিছু জিততে না পারার হতাশাটা কাঁটার মতো বিঁধেছে। কোপা আমেরিকা জেতার পর আজকের এ পুরস্কারটা আমি এটা উপভোগ করছি। জাতীয় দলের সবার সঙ্গে আমি এ সম্মান ভাগ করে নিতে চাই।
‘একই সঙ্গে আমার বার্সেলোনা ও প্যারিসের সতীর্থ ও কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য মন খারাপ করার মতো বিষয় হচ্ছে, মেসির বয়স এখন ৩৪। আর খুব বেশি দিন ফুটবল মাঠে হয়তো দেখা যাবে না মহান এ ফুটবল শিল্পীকে। তবে মেসি জানালেন বুটজোড়া তুলে রাখার কোনো পরিকল্পনা এখনও তার মাথায় আসেনি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন অবসর নিয়ে। আমি প্যারিসে খুব ভালো আছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। আমি জানি না আর কত দিন খেলতে পারব। আশা করি সেটা আরও অনেক দিন। কারণ আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি।’
মেসির কাছে ব্যালনের রেসে হেরে গেছেন রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি। মেসি সাধুবাদ জানালেন এই পোলিশ স্ট্রাইকারকে।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, ‘রবার্টের মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এই পুরস্কারের জন্য লড়াই করতে পারাটা আমার জন্য গর্বের। গত বছরের ব্যালন ডরটা তার প্রাপ্য ছিল।’