স্বাধীনতা কাপের মিশন জয় দিয়ে শুরু করল ঢাকা আবাহনী। চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে এসে থেকে ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলা স্বাধীনতা কেএসকে হারিয়েছে মারিও লেমসের বাহিনী।
সোমবার টুর্নামেন্টের এ-গ্রুপের ম্যাচে স্বাধীনতা কেএসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আবাহনী।
এ জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে নেমেছে লেমসের দল। সবশেষ ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা কাপ জিতেছিল প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দলটি।
এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে আবাহনীর জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কোস্টারিকার ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস, মেহেদী হাসান রয়েল, রাকিব হোসেন, সুশান্ত ত্রিপুরা ও ইরানিয়ান ডিফেন্ডার মিলাদ শেখের। দীর্ঘ ১০ মাস পর ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন নবীব নেওয়াজ জীবন।
তারকাসমৃদ্ধ আবাহনীকে ম্যাচের শুরুতেই চমকে দিতে পারত নবাগত দল স্বাধীনতা কেএস।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় লিড নিয়ে ফেলতে পারত তারা। মাঝমাঠ থেকে উজবেক মিডফিল্ডার নদিরের দেয়া বল আবাহনীর রক্ষণের ওপর দিয়ে ভেসে ওঠার সময় চিপ করেন নেদো তুর্কভিচ।বল বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় স্বাধীনতাকে। বিপদমুক্ত হয় আবাহনী।
মিনিট দুয়েক পর সুযোগ হাতছাড়া করে আবাহনী। ড্যানিয়েল কলিনদ্রেসের স্টপ কিকে বল জালে জড়ান আবাহনীর ইরানিয়ান ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ।অফসাইডের ফাঁদে গোল বাতিল হলে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় আকাশী-হলুদ জার্সিধারীদের।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে মেহেদী হাসান রয়েলের গোলে লিড নেয় আবাহনী। নুরুল নাইম ফয়সালের ক্রস থেকে হেডে আবাহনীর জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে নিজের নামের পাশে গোল যোগ করেন রয়েল।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেও ব্যবধান বাড়াতে পারত আবাহনী। কলিনদ্রেসের দূর পাল্লার শট বারে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি কোস্টারিকার এ ফুটবলারের।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ অব্যাহত রাখে আবাহনী। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মেহেদীর ক্রস থেকে ইমন বাবুর হেড রুখে দেয় স্বাধীনতার রক্ষণ।
এর ঠিক মিনিট তিনেক পর সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয় স্বাধীনতার। রাফালের ক্রস থেকে ডিফেন্ডার সিমাক কুরেইশির হেড চলে যায় বদলি হিসেবে নামা ফরোয়ার্ড জিল্লুর রহমানের কাছে। তার হেড বারে লেগে ফিরতি বল জিল্লুরের হাতে লেগে জালে জড়ালে হ্যান্ডবল দেন রেফারি।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোল করে ব্যবধান বাড়ান আবাহনীর মিডফিল্ডার রাফায়েল আগুস্তো। জীবনের আস পায়ে আসার পর একেবারে সাইড লাইন থেকে কাটিয়ে চার ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে বাঁকানো শটে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান।
এর পর গোলকিপারকে ওয়ান টু ওয়ান পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হোন আবাহনীর রাকিব হোসেন।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া স্বাধীনতা কেএস ম্যাচের ইনজুরি টাইমে নাটক জমিয়ে ফেলে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে দারুণ ভলিতে দলের ব্যবধান কমান দলটির মিডফিল্ডার নদিরবেক মাদলোনভ।
শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। এ জয়ে গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেল মারিও লেমসের বাহিনী।