কাগজে-কলমে অন্যতম ফেবারিট দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ ফুটবলারের সঙ্গে দলের দায়িত্বে টেকটিক্যালি উঁচু মানের আর্জেন্টাইন কোচ। ডিয়েগো ক্রুসিয়ানির অধীনে প্রথম মিশন স্বাধীনতা কাপ। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটাই কঠিন করে জয় পেতে হয়েছে সাইফের।
তুলনামূলক অনেক সহজ প্রতিপক্ষ সার্ভিসেস দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে সাইফ।
পেনাল্টি ও আত্মঘাতীর বদান্যতায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীকে ২-১ ব্যবধানে হারায় জামাল ভূঁইয়াদের দল।
তবে জয়টা এতো সহজে আসেনি সাইফের। ম্যাচে আধিপত্যের ছাপ থাকলেও আক্রমণে তেমন ধার ছিল না ক্রুসিয়ানির দলের। উল্টো অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারত সেনাবাহিনী। বলা যায় সাইফের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন মেহেদী-ইমনরা।
কোনো বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই যে লড়াইটা তারা করেছে তা নিঃসন্দেহে বাহবা পাওয়ার দাবিদার।
সাইফকে চমকে দিয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটা করে ফেলে তারাই। মেহেদীর পেনাল্টিতে লিড নেয় সেনাবাহিনী। এই গোলের অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় সাইফ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৪৯ মিনিটে সমতায় ফেরে সাইফ। পেনাল্টিতে গোল করেন সাইফের ফরোয়ার্ড এমেকা।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে এসে প্রথমবার লিড পায় সাইফ। তবে সেটাও সেনাবাহিনীর আত্মঘাতী গোলে! ডান প্রান্ত থেকে সাইফের ডিফেন্ডার নাসিরুলের ক্রসটা হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার মেহেদী। তার গোলে সেনাবাহিনীর স্বপ্নের শুরু, তার গোলেই যেন স্বপ্নভঙ!
কষ্টার্জিত জয়ের স্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং।