৪৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে যখন হতাশার দিকে এগুচ্ছে স্বাগতিক দল, সে সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।প্রথম সেশনের শেষে ব্যাট করতে নামা এ দুই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২০৪ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মুশফিক। দিনশেষে ১১৩ রানে অপরাজিত লিটন আর ৮২ রান নিয়ে খেলছেন মুশফিক।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ঘণ্টাতে স্বাগতিক দল হারায় দুই ওপেনারকে। বাজে শটে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশ হারায় অভিজ্ঞ মুমিনুল হককে।
প্রাণবন্ত উইকেটে পাকিস্তানের শুরুর দিককার পেইস আক্রমণ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুল শট সিলেকশনের খেসারত দিতে হয়েছে সবাইকে।
এরপর উইকেট আগলে রেখে বিপর্যয় সামাল দিতে চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিরতি থেকে ফিরে দেখেশুনে দলকে শতরান পার করান দুই ব্যাটসম্যান।
৯৫ বলে ক্যারিয়ারের দশম হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন। ৪৯ রানে দলের চার উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন তিনি। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারে তুলে নেন নিজের ফিফটি। মুশফিকের সঙ্গে তার পার্টনারশিপ ছাড়িয়েছে ২০০ রান।
সবশেষ ১০ ইনিংসে এটি পঞ্চম ফিফটি লিটনের। সেটিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন তিনি। ১৯৯ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে।
ফিফটি তুলে নেন মুশফিকুরও। ১০৮ বলে ৮টি চারে নিজের ২৪তম টেস্ট ফিফটির স্বাদ নেন এই ব্যাটার।