সবশেষ আট টি-টোয়েন্টির সবগুলোতে হার। যার মধ্যে ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্লিন সুইপ। টি-টোয়েন্টিতে টানা ব্যর্থতার পর এবারে ভিন্ন ফরম্যাটে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশ মাঠে নামতে যাচ্ছে। এবারে লড়াইটা লাল বলে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শুক্রবার মাঠে নামছে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে খেলা।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ১১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের একমাত্র অর্জন ২০১৫ সালের ড্র। বাকি সবগুলোতে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এবারে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাগতিক দল।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান শুরু থেকে নড়বড়ে। এবারে যদি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে গতবারের মতো পয়েন্ট টেবিলের শেষে থাকতে হয় তাহলে টুর্নামেন্টের সামনের আসরে আর খেলার যোগ্যতা থাকবে না বাংলাদেশের। রেলিগেটেড হয়ে যেতে হবে।
তখন কপাল খুলে যাবে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান বা আয়ারল্যান্ডের। তিন দলের যে কোনো একটি সুযোগ পেয়ে যাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সরাসরি খেলার।
সে হিসেবে না গিয়ে আপাতত টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক এ ম্যাচকে দেখছেন সেশনের খেলা হিসেবে। পাঁচদিনের ১৫ সেশনের অধিকাংশে প্রাধান্য চায় স্বাগতিক দল।
তিনি বলেন, ‘দেখেন টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা। এখানে সেশনে সেশনে ছন্দ পরিবর্তন হতে পারে। পাঁচ দিনের চারদিনে ১২ টা সেশন আপনি জিতলেও শেষ দিনে ৩টা সেশন যদি না জেতেন তাহলে ফল পক্ষে আসবেনা। পাঁচ দিনে সবগুলো সেশন যারা ভালো খেলবে তারা ম্যাচ জিতবে।’
পরিসংখ্যান থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সব কিছু যাচ্ছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে। তবে এসব গায়ে লাগাচ্ছেন না মুমিনুল। নিজের দল নিয়ে পাকিস্তান বধে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
তিনি বলেন, ‘একেক জনের আত্মবিশ্বাস একেক রকম। আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ওরা কী বলছে তা নিয়ে আমি চিন্তা করছিনা। আমি আমার পরিকল্পনাতে অনড় থাকার চেষ্টা করছি। বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে তা শোনার দরকার নাই মনে করি। না শোনাই ভালো।’
অপরদিকে টানা সাফল্যে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে টিম পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করতে চায় সফরকারী দল।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ‘যেভাবে আমরা টেস্টে খেলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও দেশের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে, তাতে দলটা বেশ থিতু ও অভিজ্ঞ হয়েছে। সবাই পারফর্ম করে আসছে ও দল হিসেবে খেলছে। আশা করি এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা ভালো করব।’
তিনি যোগ করেন, ‘টেস্ট ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের সঠিক অর্থ আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট। এখানে যতটা উপভোগ করব ও ফোকাসড থাকব, আমাদের জন্য তত ভালো হবে।’
সিরিজের শুরু থেকে বাংলাদেশ দলে ছিল চোটের সমস্যা। ফলে সাদা পোশাকের সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না সাকিব, তামিম, মুস্তাফিজের মতো সিনিয়রদের।ফলে বাড়তি দায়িত্ব বর্তাবে দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল ও মুশফিকের কাঁধে। শুক্রবারের ম্যাচে অভিষেক হতে পারে মাহমুদুল হাসান জয় বা রেজাউর রাজার যে কোনো একজনের।