পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের শেষ ওভারের ঘটনা। শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২ রান। আর কোনো রান না হলে জিতে যাবে বাংলাদেশ। স্ট্রাইকে পাকিস্তানের ব্যাটার মোহাম্মদ নাওয়াজ। বল করলেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুল্লাহ রিয়াদ। বল গিয়ে লাগে সোজা স্টাম্পে।
টানটান উত্তেজনায় ভরা ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতে গেছে মনে করে গ্যালারিতে তখন জয়োল্লাসে মেতেছেন লাল-সবুজ ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু বলটা ‘ডেড’ বলে ঘোষণা দিলেন আম্পায়ার।
নিরুপায় হয়ে বলটি আবার করতে হলো রিয়াদকে। এবার চার মেরে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। হার-জিত ছাপিয়ে এরপর আলোচনায় আসে রিয়াদের করা ‘ডেড’ বল।
বলটা কি আসলেই ‘ডেড’ হয়েছিল? নাকি সৌজন্যের বালাই করে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে প্রতিবাদ না করে মেনে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক!
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটা খোলাসা করেছেন অধিনায়ক। বলেন, ‘আমি জিজ্ঞেস করেছি। নাওয়াজ শেষ মুহূর্তে অনেক নড়াচড়া করছিল। এটা আমি জিজ্ঞেস করছিলাম। এটা কি বৈধ বল কিনা শুধু এটা জানতে চেয়েছিলাম। এর বাইরে কিছু না।
‘আম্পায়ারের কলই ফাইনাল। আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।’
ডেড বল নিয়ে ক্রিকেটের আইন কী বলে সেটাও জানা দরকার।
এমসিসির রুলবুকের ২০ ধারার ৪.২.৫ উপধারায় বলা আছে, আম্পায়ার ডেড বলের সংকেত দিতে পারবেন যখন, ‘বল ডেলিভারির পর যদি স্ট্রাইকের ব্যাটার প্রস্তুত না থাকেন ও বল খেলার কোনো চেষ্টা না করেন এবং আম্পায়ার যদি নিশ্চিত হন যে ব্যাটারের উপযুক্ত কারণ রয়েছে প্রস্তুত না হওয়ার।’
নিয়ম অনুসারে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে ধরে নেয়া হবে। সেজন্য প্রতিবাদ করেননি রিয়াদ। ম্যাচটি জিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান।