গত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হওয়ার পর, রবার্তো মানচিনির হাত ধরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে ইতালির। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় আৎসুরিরা।এরপরই নেমে আসে দুর্যোগ। কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় একের পর এক ড্রয়ের পর নিজ গ্রুপে রানার্স আপ হতে হয়েছে ইতালিকে। ফলে প্লে-অফ খেলে মূল পর্বে পৌঁছাতে হবে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।সোমবার রাতে সি-গ্রুপের খেলায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ইতালি। একই গ্রুপে বুলগেরিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান ও মূল পর্ব নিশ্চিত করে সুইজারল্যান্ড।ইতালির হেড কোচ মানচিনি অবশ্য নিশ্চিত যে তার দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে পৌঁছাবে। শুধু তাই নয়, মানচিনির বিশ্বাস কাতার বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে তার দল।ম্যাচ শেষে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা মার্চের প্লে-অফ পর্বের প্রস্তুতি নিতে চাই এখন। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করব এবং আশা করি টুর্নামেন্টও জিতব।’নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখলেও বাছাইপর্বে গোল খরায় ভুগেছে ইতালি। ৮ ম্যাচের ৪টিতে ড্র করেছে তারা।বিষয়টি মেনে নিয়ে মানচিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের গোল করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা প্রাধান্য বিস্তার করে পজেশন বেশি রেখে খেলছি। এটা দুঃখজনক যে এই পরিস্থিতিতে আমাদের পড়তে হয়েছে। নিজেদের ফিরে পেতে হবে আমাদের।’ইতালির সঙ্গে পর্তুগাল, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড, তুরস্ক ও পোল্যান্ডের মতো দলগুলোও প্লে-অফে খেলবে।ইতালির ড্র করার দিন দুর্বল সান মারিনোকে ১০-০ গোলে হারিয়ে মূল পর্বে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে চার গোল করেছেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন।আশির দশকে কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারের পর এই প্রথম কোনো ইংলিশ খেলোয়াড় সুপার হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন।১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আই-গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপে পা রাখছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড।