টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিল্ডিং প্রচণ্ড ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং ইউনিটে ব্যর্থতার পাশাপাশি, ফিল্ডিং ইউনিটের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ভেতর দেখা গেছে ফিল্ডিং মিসের মহড়া। পাল্লা দিয়ে চলেছে ক্যাচ মিসের প্রতিযোগিতা। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ৯টি ক্যাচ হাত ফসকেছে টাইগারদের।
আর এই ফিল্ডিং মিসের মাশুলটা হার দিয়ে দিতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে আসার পর শুরু হয় ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম। গুঞ্জন উঠতে থাকে কোচিং প্যানেলে পরিবর্তনের। একই সঙ্গে শুরু হয় ঢালাওভাবে ক্রিকেটকে সাজানোর মিশন।
খালেদ মাহমুদ সুজনকে টিম ডিরেক্টর বানিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কাজ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর্দার পেছনের এই নায়ক দায়িত্ব পেয়ে পাইপ লাইনের সাত ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু করেন কাজ।
পাশাপাশি পরিবর্তন আনা শুরু হয়েছে কোচিং প্যানেলেও। বিশ্বকাপে ব্যর্থ ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে বিদায় জানাচ্ছে বিসিবি।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফিল্ডিং কোচ আর থাকছেন না জাতীয় দলের সঙ্গে। চুক্তি শেষ দিকে চলে আসায় তার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা ভাবছে না বোর্ড।
শনিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
একই সঙ্গে স্থানীয় এক কোচকে তার স্থলাভিষিক্ত করার কথাও জানান তিনি। তবে সেই কোচ কে সেটি এখনও জানাননি সাবেক এই অধিনায়ক।
আকরাম বলেন, ‘আসন্ন সিরিজে কুককে আমরা পাচ্ছি না। ওর জায়গায় নতুন একজন স্থানীয় কোচ নিয়োগ দিচ্ছি। আমরা এটা ১৬ তারিখ ফাইনাল করব।’
‘কুকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আছে। ওর চুক্তিও আমরা নবায়ন করাচ্ছি না।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একের পর এক ক্যাচ হাতছাড়া করা ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের বাজে অবস্থায় আলোচনায় উঠে আসে কুকের ভূমিকা।
ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ফিল্ডিং কোচকে।
২০১৮ সালে এক বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় রায়ান কুককে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও তার পারফরম্যান্স দেখে সেটি নবায়ন করেছিল বিসিবি।