ইংল্যান্ডকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার নামতে চলেছে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
প্রায় এক দশক পর ফাইনালে খেলার সুযোগ দুই দলের সামনে। সবশেষ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছেড়েছিল দলটি। তার আগের আসরে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল মিজবাহ-ইমরান বাটের পাকিস্তান। সেবার ভারতের কাছে হেরেছিল দলটি।
এরপর প্রায় এক যুগেও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা হয়নি দলটির।
অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে সেবার ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রানারআপ হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।
এরপর গত ১১ বছরে চার আসরে ফাইনালে খেলা হয়নি অজিদের। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলার সুযোগের হাতছানি ফিঞ্চ-ওয়ার্নারদের সামনে। আর তৃতীয়বারের মতো সুযোগ পাকিস্তানের।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো দক্ষতা প্রদর্শন করেছে পাকিস্তান। জয় পেয়েছে ৫ ম্যাচের সব কটিতে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া।
এ ম্যাচে পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসেবে দেখছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে তিনি এটিও বলেছেন, কাগজে-কলমে আলোচনায় না থাকলেও তার দল শিরোপা জয়ের দিকেই তাকিয়ে আছে।ফিঞ্চ বলেন, ‘পাকিস্তান অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে তাদের পারফরম্যান্স সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আপনি যদি বিগত কয়েকটি সিরিজের দিকে তাকান সেখানে এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে আমাদের পক্ষে কোনো বক্তব্য নেই।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় বেশি পাকিস্তানের। ২৩ লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয় ১২টি। অজিদের ৯টি। ১টি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সমান জয় ও হার পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার। ছয়বারের দেখায় তিনটি করে জয় দুই দলের।