খেলার মানসিকতা নিয়ে ঘুম থেকে ওঠার পর ফুটবলাররা জানছেন যে ম্যাচ হচ্ছে না। পরের দিনও একই অবস্থা। পরপর দুই দিনে ম্যাচ স্থগিত ও শিডিউল বিপর্যয়।
এতে মানসিকভাবে কিছুটা চাপে আছেন ফুটবলাররা। ট্রেনিং শিডিউলে হচ্ছে বিপর্যয়। শ্রীলঙ্কায় চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে এটিই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়তি।
এ সবকিছু মানসিক প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ফুটবলারদের। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে মাঠে নেমে নতুন আশায় থাকতে হচ্ছে দলকে।
বিষয়টা ব্যাখ্যা করলেন জাতীয় দলের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দুইটা বিষয়ই আছে। মানসিকভাবে কিছুটা প্রেসারে আছি। আবার একদিক থেকে ভালো যে এখানে এসে তিনদিন সুযোগ পেয়েছি ট্রেনিং করার। এখানে বারবার তারিখ বদল হচ্ছে। এখানে ভাগ্যেরও অনেক বিষয় আছে।
‘আমরা পেশাদার ফুটবলার। পরের ম্যাচ কিভাবে খেলব মাইন্ড সেট করি। কিন্তু সকালে উঠে যদি শুনি আবার তারিখ বদল হচ্ছে তাহলে আমাদের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।’
ম্যাচ পেছানোর সময়ে দলের কৌশলকে আরও শান দেয়া হচ্ছে। ফিনিশিং থেকে শুরু করে সবচেয়ে শক্তির জায়গা সেটপিস নিয়েও হয়েছে কাজ।
জিকো বলেন, ‘ম্যাচ হয়নি বলে কোচ আরও ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে পেরেছে। ফিনিশিং আর সেটপিস নিয়ে কাজ করেছে। এগুলো যদি ম্যাচে করতে পারি তাহলে আমরা গোল করার আরও সুযোগ পাব।’ম্যাচ পিছিয়ে বুধবার বিকেলে একই ভেন্যুতে শিডিউল করা হয়েছে। সেশেলসের বিপক্ষে মনের যুদ্ধকে জয়ী করে ম্যাচেও তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান জিকো। তিনি বলেন, ‘তারপরেও সবকিছু ফেলে সামনের যে ম্যাচ আছে যে কোনো ভাবে জিততে চাই।’
দুই দলেরই সমান সমান অবস্থা দেখছেন জিকো। যারা আগে স্কোর করতে পারবে তারা সুবিধা নিয়ে খেলবে এমনটাই বলছেন জাতীয় দলের এই শটস্টপার।
ম্যাচ পেছানোয় দলের ট্রেনিং শিডিউলে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানান জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। এতে মানসিক চাপ বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ম্যাচ পেছানো ভালো নয়। কেননা কোচকে নিশ্চয়ই খেলার আগের দিনে ট্রেনিং প্ল্যান তৈরি করতে হয়। বা তিন দিন পরে হলে সেভাবে ট্রেনিং শিডিউল তৈরি করতে হয়। একটা ভিন্ন প্ল্যান থাকে। যেই জায়গায় প্রতিদিনই তাদেরকে খেলার জন্য তৈরি করা আর ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এটা মানসিক চাপ।’
তাই খেলোয়াড়দের যেকোনো সময় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে বলে জানান রুপু, ‘তারা মোটিভেটেড। তারা ভালো আছে। আমার মনে হয় আমরা ম্যাচটা জিততে চলেছি। ভালো কিছু করতে চলেছি।’