কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। জয়ের আশায় শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।কিন্তু শুরুর মতো শেষটাও যাচ্ছেতাই হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। মাহমুদুল্লাহকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হচ্ছে একেবারে খালি হাতে।
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা ছিল মামুলি; ৭৪ রানের। হেসেখেলে ৮ উইকেট ও ৮২ বল অক্ষত রেখেই তা টপকে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে তাসকিন-মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হন অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। পাঁচ ওভারে তুলে নেন ৫৮ রান।
অজিদের ১০ উইকেটে ম্যাচ শেষ করতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ২০ বলে ৪০ করা ফিঞ্চকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ডানহাতি এ পেইসার। জুটি ভাঙলেও রানের চাকা থামাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন অ্যারন ফিঞ্চ। ছবি: এএফপি
স্কোরবোর্ডে আর ৯ রান যোগ হতে ওয়ার্নারকে ফেরান শরিফুল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজ সারেন মিচেল মার্শ।
বিশাল জয়ের ফলে রানরেটে সাউথ আফ্রিকাকে টপকে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে স্টার্ক-হেইজলউড ও জ্যাম্পার বোলিংয়ের সামনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিক-রিয়াদরা। ১৫ ওভার খেলে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শিবিরে উইকেটের মড়ক শুরু হয় লিটনের শূন্য রানে ফেরা দিয়ে। ১০ রান তুলতেই আউট সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম।
এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেন নাঈম শেখ। অধিনায়কের সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়ে ১৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাঈম।
এরপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। রিয়াদের ১৬, নাঈমের ১৭ আর শামীমের ১৯ ছাড়া দুই অঙ্কের রানের দেখা পাননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার।
লিটন দাসকে বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। ছবি: এএফপি
শেষ পর্যন্ত অজি বোলিং তোপে সামনে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে ১০০-এর নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের স্কোর ছিল ৭০। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে সে লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯ রানের খরচায় ৫ উইকেট নেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। দুটি করে উইকেট যায় মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজলউডের ঝুলিতে। আর একটি উইকেট পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানোয় ম্যাচ সেরার পুরস্কারও বাগিয়ে নেন জ্যাম্পা।