টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক দুই মাস আগে শেরে বাংলার স্পিনবান্ধব উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজের ঠিক ৬০ দিনের মাথায় দুবাইয়ের পেইসবান্ধব উইকেটে মাহমুদুল্লাহদের সেই ছেলেখেলার প্রতিদান দিল অস্ট্রেলিয়া।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ডমিঙ্গো শিষ্যরা।
স্টার্ক-হেইজলউড ও জ্যাম্পার বোলিংয়ের সামনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিক-রিয়াদরা। ১৫ ওভার খেলে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শিবিরে উইকেটের মড়ক শুরু হয় লিটনের শূন্য রানে ফেরা দিয়ে। ১০ রান তুলতেই আউট সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম।
এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেন নাঈম শেখ। অধিনায়কের সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়ে ১৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাঈম।
এরপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। রিয়াদের ১৬, নাঈমের ১৭ আর শামীমের ১৯ ছাড়া দুই অঙ্কের রানের দেখা পাননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত অজি বোলিং তোপে সামনে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে ১০০-এর নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের স্কোর ছিল ৭০। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে সে লজ্জায় পড়েছিল বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯ রানের খরচায় ৫ উইকেট নেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। দুটি করে উইকেট যায় মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজলউডের ঝুলিতে। আর একটি উইকেট পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।