ব্যবধানটা মাত্র ঘণ্টা খানেকের। এই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দুটো দলকে তুলোধুনো করল সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের হাতে নাস্তানাবুদ হয় বাংলাদেশ। আর পাকিস্তান ধসিয়ে দিয়েছে নামিবিয়াকে।
দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই দৃশ্যপট বদলে দিল পাকিস্তান।নবাগত নামিবিয়ার বিপক্ষে দুই উইকেটের খরচায় ১৮৯ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাবর আজমরা।
আবু ধাবির এ উইকেটে কিভাবে ব্যাট করতে হয় সেটি যেন চোখে আঙুল দিয়ে মাহমুদুল্লাহদের দেখিয়ে দিলেন রিজওয়ান-বাবররা।
নামিবিয়াকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে পাকিস্তান পেয়েছে ৪৫ রানের বড় জয়। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে নামিবিয়া।
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানে হাসান আলির শিকার হয়ে মাইকেল ফন লিঙেন ফিরলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টিফেন বার্ড ও ক্রেইগ উইলিয়ামস।
দুই ব্যাটার মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সামাল দিচ্ছিলেন নামিবিয়াকে। বার্ড খেই হারিয়ে রান আউট হয়ে ২৯ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি।
উইকেট আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন উইলিয়ামস। সঙ্গে নেন জেরার্ড এরাসমুসকে। ১০ বলে ১৫ করে বিদায় নেন এরাসমুস।
পরের ওভারের শেষ বলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা উইলিয়ামসকে ৪০ রানেই থামিয়ে দেন শাদাব খান।
এরপর জেজে স্মিটকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডেভিড ভিসে। ১৭ তম ওভারের শেষ বলে হারিস রাউফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফখর জামানের হাতে বন্দি হন স্মিট।
হাল ছাড়েননি ভিসে। ইয়ান নিকোল লোফটি-ইটনকে নিয়ে টানতে থাকেন দলকে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের খরচায় ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। আর পাকিস্তান পায় ৪৫ রানের বড় জয়।
ভিসে ৩১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রাউফ ও শাদাব খান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের উদ্বোধনী জুটিতে ১১৩ রান পায় পাকিস্তান।
১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড ভিসে ফেরান ৪৯ বলে ৭০ করা বাবরকে। পরের ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান ফখর জামান।
এরপর মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন রিজওয়ান। নামিবিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানরেট বাড়াতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন দুই জন। ৫০ বলে ৭৯ করে রিজওয়ান ও ১৬ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন হাফিজ। ম্যাচ সেরা হন রিজওয়ান।
৪৫ রানের জয়ে টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মত সেমি ফাইনালে খেলবে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।