টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারণে তাকে প্রাথমিকভাবে দুই দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
ওই ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল সাকিবের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের ছিটকে পড়ার বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছে।
দলে সাকিবের উপস্থিতি বেশ প্রভাব ফেলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। মাশরাফির পর সাকিবই ছিলেন একজন, যে কিনা উজ্জীবিত রাখতে পারতেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের, এমনটা মন্তব্য জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাকিবুল হাসানের।
নিউজবাংলাকে রাকিবুল বলেন, সাকিবের না থাকাটা জাতীয় দলের জন্য বড় ক্ষতি।
তিনি যোগ করেন, ‘যাকেই নেবে সে তো আর সাকিব হবে না। সাকিব টু ইন ওয়ান। সাকিবের মাঠে উপস্থিতি অধিনায়ককে যেমন সাহায্য করে, তেমনি বাকি খেলোয়াড়দেরও উজ্জীবিত করে। কাজেই সার্বিকভাবে সাকিবের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য বড় ধাক্কা।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে ডু-অর-ডাই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চোট নিয়ে চালিয়ে গেছেন বোলিং। এরপর ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাট হাতে নেমে পড়েন ওপেনিংয়ে।
সেই ম্যাচে তিন রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনের দুটি ম্যাচ এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা।
২ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এরপর ৪ নভেম্বর মাহমুদুল্লাহ বাহিনী মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।