শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ হারলেও টাইগারদের জন্য কয়েকটি ইতিবাচক দিকের একটি ছিল মুশফিকুর রহিমের রানে ফেরা। বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই ৩৭ বলে ৫৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুশফিক।
এটি ছিল শর্টার ফরম্যাটে মুশফিকের ১১ ইনিংসের পর ফিফটি। তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটির সাহায্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছাড়ায় ১৭০। দীর্ঘদিন পর রান পাওয়ায় সন্তুষ্ট মুশফিক। তবে জানালেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সব সময় রান করা সহজ বিষয় নয়।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দেখেন টি-টোয়েন্টিতে তো টানা রান করা সহজ না। টি-টোয়েন্টির বিশ্বে দেখবেন নিয়মিত রান কেউই করতে পারে না। আমরা যারা ৪, ৫, ৬ নম্বরে খেলি এখানে একজন ক্রিকেটার পাবেন না যে নিয়মিত রান করে। এটা হবেই।
‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, একজন ব্যাটসম্যান যেন বড় ইনিংস খেলেন। সব সময় একজনের ওপর ভরসা করা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি একেক দিন যেন একেক জন দাঁড়িয়ে যায়।’
মুশফিকের রানে ফেরার দিন দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ক্যাচ মিসের সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বোলিং পরিকল্পনাও ছিল তোপের মুখে। মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের ওভার পুরো না করিয়ে অধিনায়ক নিজে বল করেন ও আফিফ হোসেনকে দিয়ে বল করান।
তাদের তিন ওভারে আসে ৩৬ রান। আর সাকিব নিজের তিন ওভারে দেন ১৭ রান, নেন দুই উইকেট। মুশফিক অবশ্য সমর্থন দিচ্ছেন অধিনায়ককে। বাংলাদেশের পরিকল্পনায় ছিল সাকিবকে একেবারে শেষ ওভার দেয়ার, জানালেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
তিনি বলেন, ‘উইকেট খুব ভালো ছিল। লেফটিরা সেট ছিল। ইনিংসের শেষটা তো গুরুত্বপূর্ণ। তখন আমরা চেয়েছিলাম সাকিবকে আনব। কারণ শেষদিকে কঠিন সময়টা আসে। আর সাকিব চ্যাম্পিয়ন বোলার। সে এসব মুহূর্তের চাপ সইতে পারবে। তবে হারের জন্য সাকিবকে বোলিংয়ে না আনাটা কারণ না।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর দুই দিন সময় পাচ্ছেন সাকিব-মুশফিকরা। এরপর তাদের মাঠে নামতে হবে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বুধবার বিকেল ৪টায় আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নামছে বাংলাদেশ।