বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যাচ মিস ও খরুচে বোলিংয়ে হার বাংলাদেশের

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ২০:০২

সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে মাহমুদুল্লাহর দল। বাংলাদেশের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

শারজার মাঠে ১৭১ রানের সংগ্রহটা জয়ের জন্য বড় পুঁজি ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বোলিংয়ের সময় বোলারদের খরুচে বোলিং, ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের মাশুল বেশ খারাপভাবে দিতে হলো বাংলাদেশকে।

সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে মাহমুদুল্লাহর দল। বাংলাদেশের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের দেয়া ১৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দলীয় দুই রানে নাসুমের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশাল পেরেরা।

দ্রুত উইকেট হারানোর পর পরিস্থিতি সামাল দেন পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে চ্যালেঞ্জের জবাব দেয়া শুরু করেন দুই ব্যাটসম্যান।

তাদের ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। নবম ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকাকে ফিরিয়ে সাকিব বনে যান শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তিন বল পর বোল্ড করেন আভিস্কা ফার্নান্ডোকে।

ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কান শিবিরে পরের ওভারে আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। টাইমিং মিস করায় পাঁচ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফিরতে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ হয়ে।

আর এতে ৭১ রানে দুই উইকেট হারানো লঙ্কানরা ৭৯ রানে হারিয়ে বসে চার উইকেট।

সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপন করছেন সাকিব। ছবি: টুইটার

ইনিংসের ১২.৩ ওভারের সময় ফিরে যাওয়ার উপক্রম হয় ভানুকা রাজপাকসের। আফিফ হোসেনের বল উড়িয়ে মারতে স্কয়্যার লেগে ক্যাচ দেন বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যান।

কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন লিটন। রাজাপাকসে একবার জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে নেন। সেটিই একমাত্র মিস ছিল না।

১৪.৩ ওভারে আবারও আফিফকে মারতে গিয়ে কভারে লিটনের হাতে প্রাণ পান আসালাঙ্কা।

জীবন পেয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন আসালাঙ্কা ও রাজাপাকসে। ৩১ বলে ৫৩ করা রাজাপাকসে ফিরলেও উইকেটে অবিচল থাকেন আসালাঙ্কা।

৪৯ বলে অপরাজিত ৮০ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই লঙ্কান তরুণ। ম্যাচসেরাও হন তিনি।

মাহমুদুল্লাহর বোলিং আক্রমণ বেশ খরুচে ছিল ম্যাচে। অধিনায়ক ও আফিফ মিলে তিন ওভারে দেন ৩৬ রান। সাইফউদ্দিন তিন ওভারে দেন ৩৮ আর নাসুম দুই উইকেট পেলেও ২.৫ ওভারে রান দিয়েছেন ২৯।

ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব। ৩ ওভারে ১৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে বরাবরের মতো দুর্দান্ত থাকলেও, দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।

এর আগে শারজা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস কাজে লাগান প্রথম ছয় ওভার। পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে স্কোর বোর্ডে এক উইকেটে যুক্ত হয় ৪১ রান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন দুই ওপেনার নাঈম ও লিটন দাস। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলে লাহুরু কুমারার তালুবন্দি হয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে করেন ১৬ বলে ১৬।

এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের গতি বাড়িয়ে দেন নাঈম। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ পূর্ণ করে অর্ধশতক। লঙ্কান শিবিরে তখন চলছিল ফিল্ডিং মিসের মহড়া।

অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে চামিকা কারুনারাত্নের বলে লেগ স্টাম্প হারিয়ে ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন সাকিব।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির শিকার হয়ে নিজের উইকেট হারাতে বসেছিলেন নাঈম। তবে লঙ্কান ফিল্ডারদের কল্যাণে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।

সে ওভারের চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পাশাপাশি দলীয় স্কোর ১০০ পার করান নাঈম। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ।

দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন মুশফিক-নাঈম। বিনুরা ফার্নান্দোর স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে তার হাতে ক্যাচ তুলে ৫২ বলে ৬২ রান করে ফেরেন নাঈম।

অন্য প্রান্তে অবিচল থাকেন মুশফিক। ৩২ বল খেলে চারটি চার ও দুটি ছয়ের মাধ্যমে তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক।

ফিফটির পথে ড্রাইভ খেলছেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: টুইটার

সাত রান করে আউট হন আফিফ। বাকি কাজটা সারেন মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার সামনে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন।

৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১০*।

এ বিভাগের আরো খবর