টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের খরচায় ১৭১ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ধুঁকলেও, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস কাজে লাগান প্রথম ছয় ওভার। পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে স্কোর বোর্ডে এক উইকেটে যুক্ত হয় ৪১ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন দুই ওপেনার নাঈম ও লিটন দাস। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলে লাহুরু কুমারার তালুবন্দি হয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে করেন ১৬ বলে ১৬।
এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের গতি বাড়িয়ে দেন নাঈম। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ পূর্ণ করে অর্ধশতক। লঙ্কান শিবিরে তখন চলছিল ফিল্ডিং মিসের মহড়া।
অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে চামিকা কারুনারাত্নের বলে লেগ স্টাম্প হারিয়ে ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির শিকার হয়ে নিজের উইকেট হারাতে বসেছিলেন নাঈম। তবে লঙ্কান ফিল্ডারদের কল্যাণে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
সে ওভারের চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পাশাপাশি দলীয় স্কোর ১০০ পার করান নাঈম। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ।
দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন মুশফিক-নাঈম। বিনুরা ফার্নান্দোর স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে তার হাতে ক্যাচ তুলে ৫২ বলে ৬২ রান করে ফেরেন নাঈম।
অন্য প্রান্তে অবিচল থাকেন মুশফিক। ৩২ বল খেলে চারটি চার ও দুটি ছয়ের মাধ্যমে তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক।
সাত রান করে আউট হন আফিফ। বাকি কাজটা সারেন মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার সামনে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন।
৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১০*।