পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইডেন গার্ডেনসে প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের সামনে কার্লোস ব্র্যাথওয়েইটের চার বলে চার ছক্কার অবিশ্বাস্য কীর্তিতে ইংল্যান্ডের হাত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি ছিনিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দগদগে ক্ষতের পাল্টা জবাবটা এভাবে দেবে ইংল্যান্ড, সেটি হয়তো ধারণাই করেনি ক্যারিবিয়রা।
সে ঘটনার পাঁচ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভে উইন্ডিজকে সর্বনিম্ন রানে আটকে দিয়েছে ইংল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৫৫ রানের জবাবে ছয় উইকেট ও ৭০ বল বাকি রেখে জয় বাগিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নড়বড়ে ছিল ইংল্যান্ড। ৫৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাদের বিসর্জন দিতে হয়েছে চার ব্যাটারকে।
দলীয় ২১ রানে জেসন রয় আউট হন। ১৮ রান যোগ করতে তাকে অনুসরণ করেন জনি বেয়ারস্টো, মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
উইকেটে টিকে থেকে ২২ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জশ বাটলার। জয়ের মুহূর্তে তাকে সঙ্গ দেন ওইন মরগান। ৭ বলে ৭ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। আর ব্যাট হাতে নেমে শুরুতে ধস নামে উইন্ডিজ শিবিরে। একমাত্র ক্রিস গেইল ছাড়া দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি কোনো ব্যাটার।
দলীয় ৯ রানে ক্রিস ওকস ও টাইমল মিলসের শিকার হয়ে ফেরেন দুই উইন্ডিজ ওপেনার; লেন্ডল সিমন্স ও এভন লুইস।
এরপর শিমরন হেটমায়ারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে কিছুদূর এগিয়ে নিয়ে যান গেইল। তাতে বাঁধ সাধেন মইন আলি। হেটমায়ারকে ফিরিয়ে ভাঙ্গেন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা জুটি।
১৩ রান করে বিদায় নেন গেইল। এরপর ইংলিশ বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। শেষতক ১৪ ওভারে দ্বিতীয় বলে ৫৫ রানে থেমে যায় ক্যারিবিয়দের রানের চাকা।
ইংল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নেন স্পিনার আদিল রাশিদ। ২.২ ওভার বোলিং করে দুই রানের খরচায় চার উইকেট শিকার করেন তিনি।
দুটি করে উইকেট নেন মইন ও মিলস আর একটি করে উইকেট যায় ক্রিস জর্ডান ও ওকসের ঝুলিতে। ম্যাচসেরা হন মইন আলি।