বাংলাদেশ দল বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে গেলেই সরব হয়ে ওঠে দেশের সংবাদমাধ্যম। সরব হয়ে ওঠেন বিসিবি সভাপতি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যতিক্রম হয়নি।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের কাছে দল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সমালোচনা করেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহসহ অন্য দুই সিনিয়র খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে টাইগার অধিনায়ক জবাব দেন কিছু সমালোচনার।মাহমুদুল্লাহ দলের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান। বিসিবি সভাপতি পালটা বক্তব্য দেন অধিনায়কের। ইঙ্গিত দেন, বিশ্বকাপ শেষে দলের দায়িত্ব নাও থাকতে পারে তার কাঁধে।
গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চলার সময়ে সংবাদমাধ্যমে আসা এসব চটকদার খবরে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছেন না বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। মূল পর্বে যাত্রা শুরুর আগের দিন সংবাদসম্মেলনে তিনি জানান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের রণকৌশল নিয়ে ব্যস্ত তিনি। অন্য কিছু নয়।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমি এখানে শুধু ক্রিকেটে ফোকাস করতে চাই। দলের বাইরে কী বলা হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। দলকে শারীরিক ও মানসিকভাবে কালকের (রোববার) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা আমার লক্ষ্য।’
সমালোচনা কেনো হচ্ছে? কে করছে বা কোন উদ্দেশ্যে হচ্ছে সেসব প্রশ্নের ধার না ধেরে পেশাদার কোচের মতোই ডমিঙ্গো জানালেন দলের মনোযোগ এখন মাঠের খেলায়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় যখন পারফরম্যান্স খারাপ হবে তখন সমালোচনা নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক স্পোর্টসের অংশই এটি। কোচিংয়ের অন্যতম দিক হচ্ছে যে বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে সেটা নিয়ে কাজ করা।
‘মানুষ কী বলছে বা লিখছে সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা নিজেদের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে পারি। কোন জায়গায় উন্নতি দরকার সেটা নিয়ে চিন্তা করতে পারি। মাঠের বাইরে কী হচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তা করলে মাঠের আসল কাজ, ক্রিকেট খেলা, তা থেকে আমাদের ফোকাস সরে যাবে।’
কঠিন বাছাইপর্বের পর ডমিঙ্গো ও তার শিষ্যদের মূলপর্বের চ্যালেঞ্জ শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিকেল চারটায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ।