ওমানে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। দিনের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দল খেলেছে পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে। তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের জন্য বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে রাত আটটায়।
মাসকাটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ২০২১ বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হচ্ছে।
কাগজে-কলমে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের সেরা সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলা ১৩ ম্যাচের ৯টি জিতেছে টাইগাররা।
তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা সাত ম্যাচের সবগুলো এসেছে মিরপুরের পরিচিত কন্ডিশনে। আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টের উইকেট যে তেমন হবে না, সেটার আভাস পাওয়া গেছে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে।
টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ অবশ্য উইকেট নিয়ে চিন্তিত নন। পেশাদার দল হিসেব যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এমনটা অভিমত অধিনায়কের।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওমানে যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম সেই ম্যাচে ব্যাটসম্যান-বোলারদের সঙ্গে যতটা আলাপ-আলোচনা করেছি, সবাই বলেছে পিচের কন্ডিশন ভালো ছিল। স্পোর্টিং উইকেট ছিল। আশা করি কন্ডিশন ওরকমই থাকবে।’
‘আমাদের যেকোনো কন্ডিশনের জন্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। তাহলে উইকেট স্লো হোক, বাউন্সি হোক কিংবা স্পোর্টিং হোক- আমরা মানিয়ে নিতে পারব। আশা করছি, ভালো উইকেট থাকবে, প্রথম বল থেকেই ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কথা বললেও, দুই প্রস্তুতি ম্যাচে দুই হার বলছে বিদেশি উইকেটে এখনও ধাতস্থ হতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো।
অধিনায়ক প্রস্তুতি ম্যাচের ফল আমলে আনতে চান না। দল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী উল্লেখ করে অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ হেরেছি। আমার মনে হয় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কালকের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। দলের আত্মবিশ্বাস আগের মতোই। আমরা সেরা খেলাটাই খেলতে পারব।’
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে নিজেদের প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে রয়েছে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়। তাদের বাড়তি ভরসা দিচ্ছে কাইল কোয়েটজার, ক্যালাম মাকলয়েডে ও ম্যাথিউ ক্রসের মতো একঝাঁক ইংলিশ কাউন্টির খেলোয়াড়।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একবারই স্কটিশদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ওই ম্যাচে স্কটল্যান্ড জিতেছিল ৩৪ রানে।
টাইগারদের হয়ে সুখবর। প্রথম ম্যাচ থেকেই একাদশে দেখা যাবে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানকে। আইপিলে নিজের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ফাইনাল খেলে দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বোলিংয়ে মুস্তাফিজের সঙ্গী হিসেবে তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামকে দেখা যেতে পারে। সাকিবের স্পিন পার্টনার হতে পারেন নাসুম আহমেদ ও মাহেদী হাসানের একজন।ওপেনিংয়ে ছন্দে থাকা সৌম্য সরকারকে দেখা যেতে পারে নাঈম শেখের বদলে।
সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, নাসুম আহমেদ/মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।