আরও একবার সাফ ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশের। আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে কোটি ফুটবল ভক্তের। তবে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্থায়ীভাবে আধিপত্য সম্ভব লাল-সবুজদের। সেজন্য একটা ফরমুলা দিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক।
দেশের একমাত্র ইউয়েফা-এ লাইসেন্সপ্রান্ত এই কোচের মতে, সাফে আধিপত্য করতে বাংলাদেশের অন্তত ১২ বছরের পরিকল্পনা দরকার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অন্তত আট বছর লাগবে। শুরু করতে হবে যে ছেলেটার বয়সটা এখন ১৬ বা ১৫ তাকে দিয়ে। আর যদি স্থায়ীভাবে প্রাধান্য চাই তাহলে আরও চার বছর আগে থেকে।’
এই ১২ বছরে কী করতে হবে হবে তার জবাবে এ অভিজ্ঞ কোচ বলেন, ‘যে খেলোয়াড়ের বয়স ১২ তাদেরকে পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে আরও ১২ বছর পরে গিয়ে আমরা ফল পাব।’ সাফে দুর্ভাগ্যের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ মত মারুফুলের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য ছিল। কীভাবে গোল করতে হবে ও গোলবার কীভাবে আগলে রাখতে হবে সেটাতে পরিকল্পনা মতো এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। শেষের দুই সিদ্ধান্তে দুর্ভাগ্যবশত দল বাদ পড়েছে।’
রাকিবের পাসের সূত্রপাত ধরে জিকোর লাল কার্ডের জন্ম। পাসটার বিকল্প রাকিবের কাছে ছিল কি না এর উত্তরে এই ট্যাকটিশিয়ান বলেন, ‘অবশ্যই ছিল। রাকিবের কাছ থেকে কিন্তু বলটা পাওয়ার জন্য সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এগিয়ে এসেছিল। মতিন মিয়া দুইবার জায়গা চেঞ্জ করে বল চেয়েছিল।’
ম্যাচে রাকিব বেশি ওয়ার্কলোড নিয়ে ফেলেছে বলে এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মারুফুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় রাকিব এতো বেশি খেটেছে ম্যাচে, যার কারণে তার মাথা আর কাজ করছিল না। এত বেশি টাক্লান্তি ছিল।রাকিবকে আরও আগে বদল করলে এমনটা হতো না।
‘রাকিব প্রায় সব বলে ছিল। অ্যাটাকিংয়ের সময় সামনে আবার ডিফেন্ডিংয়েও থাকছে। তার মানে তার ওয়ার্কলোড ৮০ মিনিট হয়ে গেছে।’
ক্লান্তি থেকে এমন ভুল হতে পারে বলে মত মারুফুলের। বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা রাকিবের ভুল পাস। কেননা এখানে রাকিব ক্লান্ত। মানসিকভাবেও ক্লান্ত। তখন এমন একটা ভুল হতেই পারে।’
বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজনের মতে নেপালের খেলোয়াড় ডাইভ দেয়ার অভিনয় করেছেন। এ বিষয়ে মারুফুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা নিয়ম। আমি অভিনয়ের সুযোগ দেব কেন? আমার কথা হলো হালকা হলেও একটা ধাক্কা ছিল। ফেলে দেয়ার মতো ধাক্কা না। তবে সব লেভেলের স্ট্রাইকাররা এমন করে। মেসি থেকে শুরু করে সবাই এমন একটু করেই। সেটা রেফারির ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে।’