মাথায় টিউমারজনিত জটিলতা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। একদিন পর জ্ঞান ফিরেছে সাবেক এই স্পিনারের। সেই সঙ্গে অবস্থার হয়েছে কিছুটা উন্নতিও।
চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগীর প্রাণনাশের ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। দেশের বেহাল এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এবারে ভুক্তভোগী হতে হয়েছে মোশাররফ হোসেন রুবেলকে।
হাসপাতালে ভর্তির পর তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এসেছে পরিবারের পক্ষ থেকে। চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব হওয়া থেকে শুরু করে ভুল চিকিৎসার শিকার হতে হয়েছে সাবেক এই ক্রিকেটারকে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঘটনার একদিন আগে কেমো নেয়ায় রুবেল এমনিতেই ছিলেন কিছুটা দুর্বল। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির পর লম্বা সময় তাকে দেয়া হয়নি কোনো খাবার বা স্যালাইন। উল্টো তাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। তাও এক জুনিয়র চিকিৎসককে দিয়ে। কারণ রুবেলের নিয়মিত চিকিৎসক ছিলেন ছুটিতে।
চিকিৎসাকে একটি মহান পেশা হিসেবে দেখা হয়। অনেক রোগীর বাঁচা-মরা নির্ভর করে চিকিৎসকের ওপর। শংকটাপন্ন রোগীকে অগ্রাহ্য করে একজন চিকিৎসকের এমন আচরণ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি।
রুবেলের সহধর্মিনী নিউজবাংলাকে জানান, ‘হাসপাতাল কতৃপক্ষ ভুল চিকিৎসার বিষয়টা স্বীকার করছে না। উনি যেই চিকিৎসকের অধীনে ছিলেন, তিনি গতকাল ছুটিতে ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর ট্রিটমেন্ট শুরু হতে দেরি করেছিলো তারা। সে সময় কোনো খাবার বা স্যালাইন কিছুই দেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে কিছু না খাওয়ায় ডিহাইড্রেশন হয়ে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন। একটা কেমোও নিয়েছিলেন আগেরদিনই, সেটার জন্য শরীরে এমনিতেই কিছু কমপ্লিকেশন ছিল। জুনিয়র চিকিৎসক যিনি ছিলেন, তিনি ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন। এমনিতেই দুর্বল শরীর, কেমো নিয়েছিলেন, তার ওপর ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সে কারণেই জ্ঞান ফিরছিল না। এখন জ্ঞান ফিরেছে। আরও একদিন আইসিইউতে থাকা লাগবে। এরপর আশা করছি বাসায় নিয়ে যেতে পারবো।’
এর আগে বুধবার আইসিইউতে নেয়ার পর ব্রেন স্ক্যান করে সেখানে কোনো সমস্যা পাননি চিকিৎসকরা। সন্ধ্যার দিকে অবস্থা কিছুটা খারাপ হলেও রাতে জানানো হয় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সার্জারি করে জাতীয় দলের এ সাবেক স্পিনারের মাথা থেকে ২০১৯ সালে টিউমার অপসারণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে রুবেল নিজেই জানান তার মাথায় ফিরে এসেছে টিউমার।