বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেফারির দিকেই আঙুল ব্রুজনের

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:১১

ব্রুজন বলেন, ‘ম্যাচের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। রেফারি ছিল ৩০ মিটার দূরে, সে হুট করে পেনাল্টি দিয়ে দিল। এমন একটি ডিসিশন দিল যেখানে নেপালের ফুটবলাররা প্রতারণা করেছে। আর রেফারি সেটাকে পেনাল্টি দিয়ে দিয়েছে।’

লাল কার্ড কাণ্ড আর পেনাল্টি বিতর্কের ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ড্রয়ের দুঃখ নিয়ে সাফ ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর রেফারি বিতর্ক এখন তুঙ্গে। ম্যাচটা নেপালের হাতে তুলে দেয়ায় রেফারিকে দুষছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজন। তার ভাষ্য, ‘যোগ্য দল হিসেবে ফাইনালে ওঠেনি নেপাল।’

নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ।

ব্রুজন বলেন, ‘ম্যাচের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। রেফারি ছিল ৩০ মিটার দূরে, সে হুট করে পেনাল্টি দিয়ে দিল। এমন একটি ডিসিশন দিল যেখানে নেপালের ফুটবলাররা প্রতারণা করেছে। আর রেফারি সেটাকে পেনাল্টি দিয়ে দিয়েছে।

‘আমি ভারতের ম্যাচের পর বলেছিলাম, বাংলাদেশের ফুটবল বেঁচে আছে। এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে এমন রেফারিং মানা যায় না। আমি যদি এখন খোলামেলা কথা বলি তাহলে দেখা যাবে আমাকে নিষেধাজ্ঞায় ফেলে দেয়া হবে।’

শুধু পেনাল্টি নয়, ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আনিসুর রহমান জিকোর লাল কার্ড দেয়াও অন্যায্য ছিল বলে মনে করছেন ব্রুজন।

এই স্প্যানিশ টেকটিশিয়ানের কথায়, ‘পেনাল্টির আগেও লাল কার্ডটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। জিকোর পায়ে লেগে তারপর হাতে লেগেছিল বল। এই টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল ছিলাম আমরা। রেফারিরা হয়তো চায়নি আমরা ফাইনালে খেলি। এই টুর্নামেন্টের জন্য এটা অন্যায়। যোগ্য দল হিসেবে নেপাল ফাইনালে ওঠেনি।’

ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় পয়েন্ট বেশি নিয়ে ফাইনালে যায় নেপাল। তবে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে ছিল বলে দাবি করছেন কোচ।

ব্রুজনের ভাষায়, ‘আমার মনে হয় নিয়ন্ত্রণ নিতে নেপাল পুরো ম্যাচে ভুগেছে। আমরা যখন এগিয়ে তখনও কাউন্টার অ্যাটাকে আমরা শার্প ছিলাম। আমরাই ফাইনালে যাওয়ার যোগ্য দল ছিলাম।

‘ভারত ম্যাচ থেকে এক অদৃশ্য ছায়া টুর্নামেন্টজুড়ে চাইছে যাতে বাংলাদেশ ওপরে না উঠুক। এটা এএফসি কাপেও হয়েছে, আজও হলো। যা হয়েছে তা ন্যায়সংগত নয়।’মালদ্বীপ ম্যাচ বাদ দিলে পুরো টুর্নামেন্টে আশা জাগানিয়া ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। অন্তত জামালদের খেলা দেখে নেতিবাচক কথা বলতে এবার কমই দেখা গেছে। প্রশংসা কুড়িয়েছেন অস্কার ব্রুজনও। তাই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্মানেন্ট করা হবে কি না জানতে চাইলে বলটা বাফুফের কোর্টে ঠেলে দেন তিনি।

ব্রুজনের কণ্ঠে, ‘বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থাকব কি না সেই সিদ্ধান্ত এখনও দিতে পারছি না। আমি যে কাজটা করি শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে করি। আমি কোচ হব কি না সেটা বাফুফের প্রেসিডেন্ট (কাজী সালাউদ্দিন) আর ক্লাব প্রেসিডেন্ট (ইমরুল হাসান) তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’

তবে ব্রুজন ইঙ্গিত দিলেন কোচ হিসেবে থাকলে এই বাংলাদেশ আরও ভালো কিছু দেখাবে সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে।

এ বিভাগের আরো খবর