বিশ্বকাপের স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য পাঁচ পেইসারকে (একজন রিজার্ভ) নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে দলের পেইস আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দেয়ার গুরুভার থাকছে মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর।
বাংলাদেশের পেইস ডিপার্টমেন্টে ফিজ ছাড়াও রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা হয়েছে রুবেল হোসেনকে।
জাতীয় দলের দুর্দান্ত এই পেইস বোলিং কম্বিনেশনের ওপর অগাধ আস্থা রাখছেন পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তিনি আশা করেন শুধু মুস্তাফিজই না, বাকিরাও নিজ আলোতে জ্বলে উঠে নিজেদের রাঙ্গাতে সক্ষম।
সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান গিবসন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, মোস্তাফিজ বা কেবলমাত্র একজনের ওপর নির্ভরশীল আমরা। আমি মনে করি তাসকিন, শরিফুল এবং সাইফউদ্দিনেরও এটা ভালো একটি বিশ্বকাপ হবে। যেই কম্বিনেশনেই খেলার পরিকল্পনা করুক না কেন টিম ম্যানেজম্যান্ট, ছেলেরা সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সেরাটা দিতে পারবে।’
চলতি বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ফিজ। ডেথ ওভারগুলোতে ছিল তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। মুস্তাফিজের এই দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স দেখে মোটেও অবাক হননি গিবসন। এটি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন তিনি।
একই সঙ্গে আইপিএলের ফর্ম বিশ্বকাপেও কাটার মাস্টার ধরে রাখতে পারবেন বলে আশাবাদী জাতীয় দলের এই বোলিং কোচ।
এ প্রসঙ্গে গিবসন বলেন, ‘আইপিএলে তাকে ভালো করতে দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি। সে বেশ উন্নতি করছে। ওকে যে দায়িত্ব দেয়া হয় সেটা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কাজও করে। আইপিএলে তাকে ভালো করতে দেখে আমি খুশি। আশা করবো বিশ্বকাপেও সে একই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে।’
আগামী ১৭ তারিখ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয়ার লড়াই।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারী, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ।
স্ট্যান্ড বাই: রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।