ইতালির ইউভেন্তাস স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। বিরতির পরই পাল্টে যায় ম্যাচের ছবি। দারুণভাবে ফিরে এসে নেশনস লিগের সেমিফাইনাল ৩-২ গোলে জিতে নেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর তাদের এই কামব্যাকের নায়ক ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) এ তারকা ফরোয়ার্ড নিজে দলের সমতাসূচক গোলটি করেন। তার আগে এমবাপের পাস থেকেই ফ্রান্সের প্রথম গোলটি করেন কারিম বেনজেমা।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে এমবাপের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি ফ্রান্সের অধিনায়ক উগো লরিস।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ম্যাচের ওই সময়টাতে সে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছিল। অসাধারণ ছিল বিষয়টা। তার প্রতিভা অসামান্য, এর সঙ্গে আছে তার জেতার মানসিকতা।’
এ বছরের ইউরোতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকে নিজের শট মিস করেন এমবাপে। ফলে শেষ ১৬ থেকে ছিটকে যেতে হয় ফ্রান্সকে। সেই প্রায়শ্চিত্ত করতেই যেন নেশনস লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন লিওনেল মেসির এই ক্লাব সতীর্থ।
জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০তম ম্যাচ খেলা এমবাপে সমর্থন পেয়েছেন কোচ দিদিয়ের দেশমেঁরও। সাংবাদিকদের দেশমঁ বলেন, এমবাপের জন্য ফ্রান্স এখন এতটা শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘কিলিয়ানের ওপরে সব সময়ই প্রত্যাশার চাপ থাকে। কিন্তু যখনই দলে সে থাকে ফ্রান্স শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেটা নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই।’
বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করেন থিও হার্নান্দেস। তার ৯০ মিনিটের গোলে বেলজিয়ামকে থমকে দিয়ে স্পেনের বিপক্ষে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ফ্রান্স।
সোমবার রাতে নেশনস লিগের শিরোপা লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে স্পেনের।