সাফ মিশনে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধে গোছানো ফুটবলে আশা জাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে মালদ্বীপের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে মালদ্বীপের গতির কাছে পাত্তাই পায়নি জামালরা। গুনতে হয়েছে প্রায় অর্ধ ডজন হলুদ কার্ড।
পরে ছন্নছাড়া ফুটবলে মালদ্বীপের কাছে অসহায়ত্ব বরণ করে নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
হারের কারণ হিসেবে দলের ফুটবলারদের ক্লান্তিকে কারণ মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজন।
তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে যা হলো, ক্লান্তি, এনার্জি না থাকা ও ফ্যাটিগ।’
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে বলা যায়, মালদ্বীপের গতির কাছে খেই হারিয়ে ফেলে অস্কারের বাহিনী।
গতির কাছে তাল মেলাতে না পারার কারণ হিসেবে অস্কার বলেন, ‘আজকে মালদ্বীপ আমাদের থেকে বেটার ছিল। ৯০ মিনিট যে এনার্জি নিয়ে খেলা দরকার ছিল মালদ্বীপ তা-ই করেছে। সেইম এনার্জি নিয়ে খেলেছে। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের। ৭২ ঘণ্টা পর পর ম্যাচ। আমরা ভালো কিছু মুহূর্ত তৈরি করেছিলাম। প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু টুইস্ট হয়ে গেল।
‘এনার্জি আজকে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আজকে তারা ভালো খেলেছে আমাদের থেকে।’
ম্যাচে পাঁচটি হলুদ কার্ড হজম করে বাংলাদেশ। ফাউল করেছে ৩০টি। এই ম্যাচে রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্কার।
এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘আমি ব্যান হতে চাই না। তবে রেফারি আজকে নিরপেক্ষ ছিল না। হলুদ কার্ডের বিষয় বলব, এমন টুর্নামেন্টে এ ধরনের রেফারি কাম্য নয়। তবে মূল কথা হচ্ছে মালদ্বীপ বেটার খেলেছে। তবে ম্যাচের সব সিদ্ধান্ত মালদ্বীপের পক্ষে গেছে।’
প্রথমার্ধে গোলশূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের গোলই সব মোমেন্টাম চেঞ্জ করে দিয়েছে বলে মত অস্কারের।
তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমাদের খেলা মানের ছিল। তাদের প্রথমার্ধে ধরে রাখতে পেরেছি। শুধু একটা সুযোগ পেয়েছে তারা প্রথমার্ধে। সেকেন্ড হাফে ম্যাচের উত্তেজনা, পরিস্থিতি ও তাদের গতি ছিল আমাদের নাগালের বাইরে।
‘প্রথম ৪৫ মিনিট ম্যাচটা ফিফটি ফিফটি ছিল। টেকটিক্যালি, উইঙ্গে, ডিফেন্সে আর মাঝমাঠেও আমরা ঠিকভাবে খেলেছি। প্রথম গোলের পর খেলোয়াড়রা বুঝতে পারেনি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করতে হবে। আমরা বেশ কিছু চেঞ্জ করেছি। কোনো অজুহাত দেব না। কিন্তু মাঠে মালদ্বীপ ভালো ছিল।’
টানা ম্যাচ খেলে এই ম্যাচের আগের দিন খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তির ছাপ দেখেছিলেন বলে জানান কোচ।
অস্কার বলেন, ‘গতকালকেও প্র্যাকটিসে খেলোয়াড়দের মধ্যে আগের সেই এনার্জি ছিল না। আমরা এগুলোর ওপর কাজ করব।’
সামনের ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ১৩ অক্টোবর। মাঝে চার দিন সময় পাচ্ছে ব্রুজনের শিষ্যরা। এখনও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান অস্কার।
তিনি বলেন, ‘সামনের ম্যাচ নেপাল। আমরা ফ্রেশভাবে খেলব ম্যাচটা। এখনও আমাদের ফাইনালে খেলার সুযোগ আছে।’