প্রথমে জিম্বাবুয়ে, এরপর অস্ট্রেলিয়া; সবশেষ নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বিশ্বমঞ্চে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
আগামী ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয়ার লড়াই শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রোববার রাতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। এ পর্বের তিনটি দলই টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের পিছিয়ে। যার ফলে পরীক্ষায় উতরে যাওয়াটা কিছুটা হলেও সহজ বাংলাদেশের জন্য। দলের বর্তমান অবস্থা ও র্যাঙ্কিং তাই বলছে।
বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশকে খেলতে হবে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দলগুলোর বিপক্ষে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
অন্যদিকে রানার আপ হলে বাংলাদেশকে লড়তে হবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে। স্বভাবতই বাংলাদেশের জন্য এটি কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।
শেষ তিন সিরিজে বাংলাদেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও সবশেষ দুই সিরিজে নিজের ছায়া হয়েই থেকেছিলেন সৌম্য সরকার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স দেখালেও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন এই ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সৌম্য খেলেছিলেন ৫০ ও ৬৮ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে তার উড়তে থাকা ফর্ম অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এসে পড়েছিল মুখ থুবড়ে।
এতটাই ভাটা পড়েছিল যে অজিদের বিপক্ষে প্রথম চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে ব্যর্থ হন সৌম্য কিউইদের বিপক্ষেও।
এক রকমের ‘সুপার ফ্লপ’ থেকেই বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন সৌম্য। আর সে কারণেই হয়তো বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর আগে বেশ সতর্ক তিনি। বাংলাদেশের তুলনায় ছোট দল হলেও তাদের হেলাফেলা করছেন না জাতীয় দলের এই ওপেনার।
সৌম্য বলেন, ‘সবার সঙ্গেই ভালো করতে হবে। আলাদা কোনো কিছু নেই। মাঠে সব প্রতিপক্ষই সমান। ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে যে মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিত, এক নম্বর দলের বিপক্ষেও একই মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিত। সবাইকে সমান চোখে দেখলে ভালো হয়। সব দল সমান। আলাদা কিছু না ভেবে নিজের সেরাটা দিতে হবে।’
সৌম্য জানান, বিশ্বকাপের স্পোর্টিং উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে হয়ে উঠেছেন আত্মপ্রত্যয়ী।
বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘স্কিল নিয়ে কিছু কাজ করা তো হয়েছেই। ব্যালেন্স করা, উইকেটে মানিয়ে নেয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমরা গত যে দুই সিরিজে খেলেছি সেখানে উইকেট অনেক কঠিন ছিল। স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। গত অনুশীলন সেশনগুলোতে উইকেট ভালো ছিল। বড় শট খেলতে গেলে ভারসাম্য জরুরি। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করেছি।’
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শনিবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এরপর রোববার রাত পৌনে ১০টায় ওমানের উদ্দেশে রওনা করবে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।