বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে আলোচিত নাসির

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:০৮

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেয়াসংক্রান্ত কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা।

জাতীয় দলের জার্সি সবশেষ গায়ে চাপান ২০১৮ সালে; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে। এরপর নিজের ফর্ম খুইয়ে জাতীয় দল থেকে বেশ দূরে আছেন নাসির হোসেন।

খেলার মাঠে তার পারফরম্যান্স খুব একটা নজর না কাড়লেও মাঠের বাইরের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রায়ই আছেন সংবাদের শিরোনামে। বিয়ের পর অনেকটা সে রকম পরিস্থিতি নাসিরের।

তামিমা সুলতানা তাম্মিকে বিয়ে করার পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় আসেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায়।

আর এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাও করেন তামিমার ‘সাবেক’ স্বামী রাকিব। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে রাকিবের সঙ্গে ডিভোর্সের নথিপত্র দেখান নাসির-তামিমা।

বৃহস্পতিবার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্টে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেয়াসংক্রান্ত কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনগতভাবে বৈধ হয়নি।

আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নাসিরের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পর ফোন দেয়ার কথা বলে নিউজবাংলাকে এড়িয়ে যান তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত এই অলরাউন্ডার। লম্বা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তিতে না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে নাসির এখনও স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলে ফেরার।

জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নটা শুধু তার একার না। স্বপ্নটা তার স্ত্রীরও। আর যে কারণে লাল-সবুজ জার্সি ফিরে পেতে জোর প্রয়াস ‘মিস্টার ফিনিশার’ খ্যাতি পাওয়া এই ক্রিকেটারের।

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে (ডিপিএল) সামনে রেখে শুরু করেছেন অনুশীলন। এই মাসের শুরুতে অনুশীলনের ফাঁকে নাসির জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলে নির্বাচকদের দৃষ্টিতে আসতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ফেরার জন্য আসলে অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করছি। করোনায় অনুশীলনের জন্য উইকেট পাইনি। আমার বিশ্বাস, আমরা এখন উইকেট পাব। তো ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই হবে।

‘যতদিন ক্রিকেট খেলব চেষ্টা করব জাতীয় দলে ফিরতে। এটা সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন।’

২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া নাসির অল্প সময়ে নির্বাচকদের পছন্দ হয়ে ওঠেন। দারুণ ফিল্ডিং ও কার্যকরী ব্যাটিং তো ছিলই, বল হাতে ব্রেক থ্রু এনে দিতেন দলকে। জাতীয় দলের একসময়কার এই ইউটিলিটি ক্রিকেটার এখন দলের আশপাশেও নেই।

৩০ বছরের নাসিরের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলাটা সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। তবে হাল ছাড়ছেন না নাসির।

এ বিভাগের আরো খবর