ভালো ক্রিকেটার তৈরির আঁতুড়ঘর ঘরোয়া ক্রিকেট। সাম্প্রতিক দেশের ক্রিকেটের এই আঁতুড়ঘরের দৈন্যদশা দৃশ্যমান খালি চোখে। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ, পাতানো ম্যাচের হাজারো প্রমাণ, আম্পায়ারদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ঘরোয়া ক্রিকেটের নিত্য ঘটনা।
প্রথম সারির ক্রিকেটে এসব অভিযোগ দৃশ্যমান না হলেও দ্বিতীয়, তৃতীয় ও তৃণমূল ক্রিকেটে হরদম ঘটছে এমন ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ দেখা যায় না ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) কর্তাদের। তারা যেন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান।
লম্বা সময় ধরে কথা বলার পরও কোথাও ছিল না কোনো সদুত্তর। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে সেটি এড়িয়ে না গিয়ে নিউজবাংলার কাছে অকপটেই অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেন সিসিডিএমের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান।
সরাসরি অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও স্বীকার করেছেন কিছু অসামঞ্জস্যের কথা।
সম্প্রতি এই বিষয়গুলো থেকে উত্তরণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এই পরিচালক। আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি তার।
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘যখন একটা বিষয়ে আলোচনা হয়, তখন সেটা ধরেই নিতে হয় ঘটনার আগে পিছে কিছু ঘটেছে। আমার মনে হয় গত চার পাঁচ বছর ধরে আমি সিসিডিএমের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ও বোর্ড প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ যেটা হয়েছে সেখানে যথেষ্ট উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।’
৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন মাসুদুজ্জামান। পরিচালক পদে বসলে ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ্ব করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমরা কাজ করছি ও উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক কিছুই আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আরও কিছু পরিকল্পনা আছে যেগুলো নিয়ে কাজ করব। এটা আরও স্বচ্ছ হবে। আমি ১০ বছর আগের কথা বলতে পারব না। তবে গত চার বছরে এটি নিয়ে যথেষ্ট কাজ করেছি আর উন্নয়ন করতে পারছি। বোর্ডের পদে বসলে অবস্থা আরও ভালো হবে।’