বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংগঠনিক দক্ষতায় ভরসা নিয়াজের

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৬

নিয়াজ মোর্শেদ জানান, নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে আসতে হয়েছে দাবা ফেডারেশনকে। সেগুলো মোটামুটি কাটিয়ে ভালো অবস্থানে আসার ঠিক প্রাক্কালেই দেশে আঘাত হানে করোনা। 

২০০৮ সালে দাবায় নতুন গ্র্যান্ডমাস্টারের (জিএম) দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সে বছর জিএম হিসেবে আবির্ভাব হয় এনামুল হোসেন রাজিবের। এরপর কেটে গেছে ১২টি বছর। লম্বা এ সময়ে নতুন কোনো জিএমের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনি দেশ।

স্বভাবতই প্রশ্ন আসে কেন এই দীর্ঘ বিরতি? কী এমন সংকট যার কারণে এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো জিএমের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেনি দাবা ফেডারেশন? উত্তরটা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম জিএম নিয়াজ মোর্শেদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক দাবাড়ুদের নিয়ে টুর্নামেন্ট ‘জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্রান্ডমাস্টার্স দাবা’। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নিয়াজ।

তিনি জানান, নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে আসতে হয়েছে দাবা ফেডারেশনকে। সেগুলো মোটামুটি কাটিয়ে ভালো অবস্থানে আসার ঠিক প্রাক্কালেই দেশে আঘাত হানে করোনা।

নিয়াজ বলেন, ‘আমাদের যেই গ্যাপটা পড়ে গেছে, সেটা কিন্তু এক-দুই বছরের না; বহু বছরের। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই আমাদের সাংগঠনিক দিকটা দুর্বল ছিল। এটা কিন্তু একদিনে আপনি কভার করতে পারবেন না। তবে এখন অবস্থা বদলাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফেডারেশনে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের মতো বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা আসছেন। আমি আশাবাদী তারা আসায় আবার দাবার হারানো ঐতিহ্যটা ফিরে আসবে।

‘আমাদের একটা ভালো সংগঠন আছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, যখন আমরা আমাদের ল্যাকিংসগুলো গুছিয়ে আনা শুরু করেছিলাম, তখনই আঘাত হানে কোভিড।’

বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার জানান, দাবার উন্নয়নে ফেডারেশনের লক্ষ্য ছিল প্রতিভাবান দাবাড়ুদের দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলিয়ে অবস্থার উন্নতি করা। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব নয়। এ কারণে দেশেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে সেই ঘাটতি পূরণে বদ্ধপরিকর ফেডারেশনের কর্তারা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল যারা প্রতিভাবান, যাদের গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার সুযোগ আছে, তাদের আমরা বাইরে নিয়ে খেলাব। যেহেতু বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই এখন আমরা চেষ্টা করব দেশে একটার পর একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আমাদের নিজেদের খেলোয়াড়দের প্রতিষ্ঠিত করার। যদিও এটা একটু ব্যয়বহুল, তারপরও আমরা আশাবাদী যেই গ্যাপটা পড়েছে, সেটা আমরা মেটাতে সক্ষম হব।’

২০ সেপ্টেম্বর হোটেল লা মেরিডিয়ানে পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টটির। ৯ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের খেলাগুলো হবে হোটেল ৭১-এ। বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ১২ জন জিএম, ১৬ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার ও ৩ জন নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর