বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিদদের মাঠে চান আফগান নারী ক্রিকেটের সাবেক প্রধান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:২৭

২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আফগান নারী ক্রিকেটের প্রধান ছিলেন সাঙ্গার। তার আমলের শেষ দিকে ২০২০ সালের নভেম্বরে ২৫ জন নারী ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করে জাতীয় ক্রিকেট দল গঠনের উদ্যোগ নেয় এসিবি। তিনি বলেন, তালেবান ক্ষমতায় আসায় নারী ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে।

আফগানিস্তানে নারীদের ক্রিকেট খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে পুরুষ দলের বিপক্ষে খেলবে না অস্ট্রেলিয়া। গত সপ্তাহে এমনটা জানিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

সিএর পথ ধরে অনেকগুলো দেশ এমন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। তবে ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোকে এমন পদক্ষেপ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আফগান নারী ক্রিকেটের সাবেক প্রধান টুবা সাঙ্গার।

ছেলেদের খেলতে না দিলে আফগানিস্তানে ক্রিকেট খেলাটিই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা সাঙ্গারের।বার্তা সংস্থা এএফপিকে সাঙ্গার বলেন, ‘ছেলেদের নিষিদ্ধ করাটা ঠিক হবে না। তারা আফগানিস্তানের জন্য অনেক করেছে।

‘বিশ্বের সামনে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে। যদি ছেলেদের দলটাও না থাকে, তাহলে ক্রিকেট খেলাটির জন্য কোনো আশা থাকবে না।’২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আফগান নারী ক্রিকেটের প্রধান ছিলেন সাঙ্গার। তার আমলের শেষ দিকে ২০২০ সালের নভেম্বরে ২৫ জন নারী ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করে জাতীয় ক্রিকেট দল গঠনের উদ্যোগ নেয় এসিবি।সাঙ্গার বলেন, তালেবান ক্ষমতায় আসায় নারী ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু সবসময়ই আশা ছিল। সবাই চেষ্টায় ছিল যেন এই সম্ভাবনা সত্যি হয়।

‘আমাদের অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন যাদের স্বপ্ন দেশের পতাকা নিয়ে পুরো বিশ্বকে দেখানো যে, আফগান নারীরাও ক্রিকেট খেলতে পারে।’তালেবান ক্ষমতা দখলের পর টুবা সাঙ্গার কানাডা চলে যান। তার আশা, বিদেশ থেকেও তারা দল চালাতে পারবেন। আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দল প্রবাস থেকেই বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয়।তিনি বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো দেশ থেকে খেলতে পারি। এতে করে যারা আফগানিস্তানে আছেন তারা কিছুটা ভরসা পাবেন।’আফগানিস্তানই আইসিসির একমাত্র সদস্য, যারা নারীদের জাতীয় দল ছাড়া পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড গত বছর দল তৈরির উদ্যোগ নেয়। দেশের ২৫ জন নারী ক্রিকেটারকে প্রথমবারের মতো বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নিয়ে আসা হয়।গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। ২০ বছর পর ক্ষমতায় এসে আবারও বেশির ভাগ পেশায় কর্মরত নারীদের কর্মস্থলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আফগানিস্তানের নতুন শাসক দল।ক্ষমতা দখলের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শরিয়াহ আইন অনুযায়ী নারীদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছিলেন তালেবান মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে নারীদের কাজ করারও অনুমতি দেবে নতুন সরকার।তবে সেই ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন এখনও দেখা যায়নি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে।১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের শাসনামলে শরিয়াহ আইন কায়েমের নামে আফগান নারীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল তালেবানরা। সে সময় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল নারীদের শিক্ষা ও চাকুরির সুযোগ। সেই সঙ্গে আইন করে দেয়া হয় কোনো পুরুষের সঙ্গ ছাড়া নারীরা একা বাইরে বের হতে পারবে না।

এ বিভাগের আরো খবর