বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকাপে মিরপুরের পিচ প্রভাব ফেলবে না: সাকিব

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:১৬

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সিরিজ জেতা প্রস্তুতির জন্য দারুণ হলেও মিরপুরের পিচের সঙ্গে বিশ্বকাপের পিচের কোনো মিল থাকবে না বলেন সাকিব।

অক্টোবর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ ভেন্যু ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিচে মিরপুরের উইকেটের খুব একটা প্রভাব থাকবে না বলে মনে করছেন সাকিব আল হাসান।

শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব ছাড়াও গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ও ইনকিলাবের স্পোর্টস এডিটর রেজাউর রহমান সোহাগ সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এল আর গ্লোবালের উপদেষ্টা পরিচালক হয়েছেন। তিন জনকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তবে সাংবাদিকরা সাকিবের কাছে প্রশ্ন রাখেন ক্রিকেট বিষয়ে।

মিরপুরের প্রশ্নবিদ্ধ পিচে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সিরিজ জেতা প্রস্তুতির জন্য দারুণ হলেও মিরপুরের পিচের সঙ্গে বিশ্বকাপের পিচের কোনো মিল থাকবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়।

তিনি বলেন, ‘১৫-১৬ দিন আগে যাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার। এটা আমাদের যথেষ্ট সময় দেবে পিচের সঙ্গে, কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার। আমার মনে হয় না এখানকার পিচ খুব একটা প্রভাব ফেলবে ওখানে। কিন্তু যেটা হয়েছে আমরা জেতার মানসিকতা নিয়ে বিশ্বকাপে জেতে পারছি।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না বাংলাদেশের পারফরম্যন্স। তবে টানা তিন সিরিজ জেতায় জয়ের অভ্যাস তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সাকিব।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভালো সুযোগ রয়েছে। প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। সবথেকে ভালো কারণ হচ্ছে সবশেষ তিনটা সিরিজই আমরা জিততে পেরেছি। অনেক সমালোচনা হয়েছে পিচ নিয়ে, উইকেট নিয়ে বা লো স্কোরিং নিয়ে। কিন্তু জেতার কোনো বিকল্প নেই।

‘দল যদি জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা অন্যরকম আত্মবিশ্বাস যোগায়। অনেক ম্যাচ খেলে হারলেও সেই আত্মবিশ্বাস হয়ত থাকবে না।’

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আইপিএলে যাচ্ছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। এই অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে দেবে জানালেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটধারী।

সাকিব বলেন, ‘আসলে আমরা ওখানে থাকব। ম্যাচ খেলব। অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করতে পারব সতীর্থদের সঙ্গে। দলগুলোর প্লেয়ারদের মেন্টালিটি কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের চিন্তা কী, এগুলো কাজে দেবে।’

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই টুর্নামেন্টে নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন সাকিব। বলেন, ‘চেষ্টা করব নিজেকে সেরাভাবে প্রস্তুত করতে। দেশের হয়ে আমার পক্ষে যতটুক সম্ভব পারফর্ম করার সেটা যেন করতে পারি। সবসময় একইরকম পারফরম্যান্স হবে সেটা ঠিক নয়। আমার চেষ্টা থাকবে শতভাগ।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর দুই উইকেট পেলেই সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডের হাতছানি সাকিবের সামনে। বিশ্বকাপে কি সেই মঞ্চ তৈরি হবে এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের জন্য কতটুকু দিতে পারছি। দলের জয়ের পেছনে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি। ফোকাসটা সবসময় এরকমই ছিল, আছে ও থাকবে।

‘যদি উইকেট না পেয়ে রান কম দিয়েও হয় তাহলে তাতেও আমি খুশি থাকব। বড় কথা হচ্ছে, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে দলের অবদানে পাশা থাকাই হচ্ছে মূল বিষয়।’

ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে বাছাইপর্ব খেলে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বাংলাদেশের। দেশকে আসন্ন বিশ্বকাপে কোথায় দেখছেন সাকিব আল হাসান?

বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার। আমাদের ধাপে ধাপে যেতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চেষ্টা করতে হবে। আমরা ধাপে ধাপে ভালো করতে পারি তাহলে সেটা আত্মবিশ্বাস যোগাবে পরের ম্যাচগুলোতে ভাল করার। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে সব দলেরই একটা সুযোগ থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর