এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতি হিসেবে নেপাল সফরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। এ ম্যাচে দুবার পিছিয়ে পড়ে দারুণ কামব্যাক করলেও শেষ পর্যন্ত হার এড়ানো যায়নি। ম্যাচে একমাত্র অর্জন ‘বাংলাদেশের মেসি’ তহুরা খাতুনের অসাধারণ গোলটি।
দশরথ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরল জাতীয় নারী ফুটবল দল।
মাঠে বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা নার্ভাস মনে হচ্ছিল মেয়েদের। ধীরে ধীরে বল দখল নিতে শুরু করে গোলাম রাব্বানী ছোটনের বাহিনী।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে আচমকা গোল খেয়ে বসেন তহুরা-কৃষ্ণারা। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের অবর্তমানে কিছুটা দুর্বল রক্ষণ নিয়ে প্রথম হোঁচটটা খায় টাইগ্রেসরা।
ডান প্রান্ত থেকে আসার ক্রস থেকে হেডে নেপালকে লিড এনে দেন সাবিতা রানা। উচ্চতার ফায়দা নিয়ে হেডের লড়াই জিতে অভিষেক ম্যাচে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
কিছুটা গোছানোর আগে আরেকটি ধাক্কা পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে প্রিতি রায়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে গ্যারি ফিলিপসের বাহিনী।
দুই ধাক্কার পর নিজেদের সামলে নিয়ে আক্রমণ সাজাতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করে মেয়েরা। অধিনায়ক সাবিনা বলটা ডি-বক্সের ভেতরে এগিয়ে দিলে বাম প্রান্ত থেকে শট নেন স্বপ্না। বল বাম বারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে গেলে সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট হয়।
দুই গোল হজমের অস্বস্তি নিয়ে বিরতি থেকে ফিরে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে কাঙিক্ষত গোলের দেখা পায় ছোটনের বাহিনী। শামসুন্নাহারের ক্রস থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে একক নৈপুণ্যে বল নিয়ে ডি-বক্সে সামনে থেকে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত ফিনিশিং করেন তহুরা খাতুন।
তার গোলে লাল-সবুজ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে। গোলের স্বস্তি নিয়ে আরও ভয়ংকর হতে থাকে বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়েও স্বাগতিকদের রক্ষণে ভালো চাপ সৃষ্টি করে মেয়েরা।
ইনজুরি টাইমে সমতায় ফেরার একটা ভালো সুযোগ ভেস্তে যায় বাংলাদেশের। বাম প্রান্ত থেকে নেয়া একটি শট শেষ মুহূর্তে রুখে দেন নেপালের গোলকিপার অঞ্জিলা সুব্বা।
এরপর একেবারে শেষ সময়ে একটা ফ্রি-কিক আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। শেষ সুযোগটি বারের অনেক উপর দিয়ে চলে গেলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেয়েরা।
আগামী রোববার সফরের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে নামবে বাংলাদেশ।