ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৭ ধাপ এগিয়ে থাকা কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা যে কঠিন হতে চলেছিল, সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। তবে এত বড় ব্যবধানে হারবে বাংলাদেশ, এমনটা ভাবেননি ইংলিশ এ ট্যাকটিশিয়ান।
বিশকেকে মঙ্গলবার রাতে কিরগিজদের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
বড় ব্যবধানের এ হার দেখে আশাহত হয়েছেন কোচ জেমি ডে। ম্যাচ শেষে সেই হতাশা ঝরে পড়ল তার কথাতে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাহত। আজকের খেলাটি যে ৪-১ ব্যবধানে শেষ হবে এমনটা ভাবিনি। আমরা গত ম্যাচে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেভাবে খেলেছিলাম, সেটা আমাদের একটা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল।
‘আমি মনে করি না মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে র্যাঙ্কিংয়ে ৮০-৯০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নামা ও আশা করা দুই দিন খেলোয়াড়রা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে পারবে।’
সেট পিস থেকে ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে প্রথম হোঁচট খায় বাংলাদেশ। পরে প্রথমার্ধেই আরও একটি গোল জালে ঢোকে বাংলাদেশের।দুই গোলের অস্বস্তি নিয়ে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই আরও একটি গোল হজম করে ম্যাচটা বেহাত হয়ে যায় জেমির শিষ্যদের।
ডিফেন্স জমাট রাখা সম্ভব হয়নি জেমির বাহিনীর। তবে জমাটবদ্ধ রক্ষণ দিয়ে কিরগিজদের রুখে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমন দুটি গোলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে বলে আশাহত হন জাতীয় দলের কোচ।
জেমি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে কিরগিজস্তান খুবই ভালো দল ও তাদের বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। লক্ষ্য ছিল আমাদের হাফে খেলা যেন তাদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়। তারা যেন জায়গা বের করে খেলতে না পারে।
‘এ জিনিসটা আমরা ভালোই করছিলাম। সেট পিসের গোলে পরিবেশ-পরিস্থিতি সব বদলে যায়। এটা হতাশাজনক। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটের মধ্যে আমরা আবার আরও একটি গোল হজম করি, যা এ নিয়ে দুবার। এটা কখনোই কাম্য নয়।’
মাঝে সুফিলের গোলে ব্যবধান কমালেও শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোল খেয়ে বড় হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জামালদের। তবে এই ম্যাচ দুটি থেকে অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাকেই পুঁজি হিসেবে দেখছেন জেমি।
জাতীয় দলের কোচ বলেন, ‘আগে থেকে জানতাম, দুটি দল অনেক শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা ডিফেন্ডিং খুব ভালো করেছে। এখান থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছি।’
৯ সেপ্টেম্বর ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে জেমি ফিরে আসতে চাইবেন নিঃসন্দেহে। এ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে।